কলকাতা : ফের বাম আমলের চাকরি বিতর্ক । এবার সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর ১৩ আত্মীয়ের তালিকা প্রকাশ করলেন কুণাল ঘোষ। যদি ঠিক হয়, তাহলে তদন্ত হোক, ট্যুইটে এমনই দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা। পাশাপাশি ট্যুইটে সুজনের বিবৃতিও দাবি করেন তিনি। যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ সুজন চক্রবর্তী। উপরন্তু তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'শ্বেতপত্র প্রকাশ না করে ভুলে ভরা তালিকা কেন ?'
এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, "সিপিএমে সূত্র থেকেই এধরনের একটা তালিকা পাওয়া যাচ্ছে। মূলত সুজন চক্রবর্তীকে কেন্দ্র করে। তাঁর যাঁরা আত্মীয় তাঁদের এই এই চাকরি। তার মধ্যে কিছু সরকারি চাকরি, একটি দেখলাম 'গণশক্তি'-র চাকরি। সেটা অবশ্যই সরকারি নয়। ওটা তো পার্টির নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু সেক্ষেত্রেও অনেকেই বলছেন, বহু লোকাল কমিটি থেকে বহু যোগ্য কমরেড, তাঁদের গণশক্তির চাকরির জন্য সুপারিশ করা হয় বা নাম পাঠানো হয়। কিন্তু, দিনের শেষে দেখা গেল, যে সুজনবাবু বা বড় কোনও নেতার আত্মীয়ই ঘুরেফিরে বহু ক্ষেত্রে সেই জায়গাটা পেয়ে যান। এখন এই তালিকাটা যেভাবে সিপিএম সূত্র থেকেই আসছে, এটা সত্যি না মিথ্যা জানি না।"
কী জবাব সুজনের ?
পাল্টা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "আগেও বলেছি, আবারও বলছি। কেল্টু, বিল্টুর আবোল তাবোল কথার আমি উত্তর দিই না। দেব না। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রীকে, শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে। সেটা কি প্রকাশ করতে পারছেন না ! যে এক একদিন এক একটা তালিকা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমি এরকম কথার উত্তর দিই না। দুই, তালিকাটাও ভুলে ভরা। এটা একটা ক্যাম্পেন করার চেষ্টা হচ্ছে।"
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় যখন বিরোধীদের সাঁড়াশি আক্রমণে নবান্ন, তখনই বাম আমলের নিয়োগ নিয়ে পাল্টা নিশানা করতে শুরু করেছে তৃণমূল। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী, মিলি চক্রবর্তীর কলেজে চাকরি পাওয়া নিয়েও। যিনি ২০২১ সালে গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজ থেকে অবসর নিয়েছেন।
যদিও এনিয়ে স্পষ্ট মিলি চক্রবর্তী বলেন, 'নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেখে কলেজে চাকরির আবেদন করেছিলাম। তখন লিখিত পরীক্ষার নিয়ম ছিল না। নিয়ম মেনে, প্রিন্সিপালের ঘরে ইন্টারভিউ দিয়ে ওই চাকরি পেয়েছিলাম। এতে যদি কারও সুপারিশ থাকে, তাহলে তার নাম বলা হোক।'