কলকাতা: প্রকাশ্য মঞ্চে দাঁড়িয়ে পুলিশকে পায়ে ধরিয়ে ছাড়বেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রাক্তন সতীর্থের সেই মন্তব্য নিয়ে এ বার মুখ খুললেন কামারহাটির তৃণমূল (TMC) বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। শুভেন্দু যা বলছেন তার উল্টোটাও হতে পারে বলে মন্তব্য করলেন তিনি। মদনের দাবি, যে হাতের আহুল উঁচিয়ে কথা বলছেন শুভেন্দু, সেই হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পায়ে ধরতে হতে পারে তাঁকে। 

শুভেন্দুর জন্য দুঃখ হয়, বললেন মদন মিত্র

বৃহস্পতিবার, ভাইফোঁটার দিন চেনা মেজাজেই এবিপি আনন্দের ক্যামেরায় ধরা দেন মদন। শুভেন্দুর মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া চাইলে বলেন, ‘‘আসলে ও যেখানে পড়ে গিয়েছে, গর্তে পড়ে গিয়েছে ও। ওর জন্য দুঃখ হয় আমার। গর্ত থেকে কী করে উঠবে, কে দড়ি ফেলবে, লোক পাচ্ছে না। না শ্বাস নিতে পারছে, না গর্ত থেকে বেরোতে পারছে, না উঠে দাঁড়াতে পারছে। এমন করেই যেতে হবে ওকে, যত ক্ষণ না ডাক্তার ব্রেনডেড ঘোষণা করছে। কিছু করার নেই।’’

আরও পড়ুন: Cooch Behar News: নয়া রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত! ভাইফোঁটায় উপহার বিনিময় মমতা-অনন্ত মহারাজের

পুলিশকে পায়ে ধরানোর প্রসঙ্গে মদন বলেন, ‘‘ও যেসব কথা বলেছে, আমি শুনেছি, ‘যে হাত দিয়ে মেরেছেন, সেই হাত দিয়ে পায়ে ধরাব’।  উল্টোটাও তো হতে পারে! ভাইফোঁটার দিন,যে হাত দিয়ে (আঙুল উঁচিয়ে) এমন করছেন, সেই হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে ধরতে হতে পারে ওকে।’’

সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটার জনসভা থেকে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যায় শুভেন্দুকে। তিনি বলেন, "যে হাত দিয়ে কানে মেরেছেন, সেই হাত দিয়েই পা ধরাব। যদি পা না ধরাতে পারি, তাহলে আমার নাম শুভেন্দু অধিকারী নয়।" তৃণমূলের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু আরও বলেন, "এদের সঙ্গে কেউ নেই। পুলিশ বাবা পার করেগা। মিথ্যে মামলায় এরা এলাকার পরোপকারীকে জেলে ঢুকিয়েছে।" 

প্রকাশ্য সভায় পুলিশকে পায়ে ধরানোর হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু

স্বপন দাসকে মারধর করার অভিযোগ এবং সুতাহাটার প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা ঘনিষ্ঠ সত্যব্রত দাসের গ্রেফতারিতেই শুভেন্দুর গলায় হুঁশিয়ারির সুর বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দুর্নীতির অভিযোগে ১৯ অক্টোবর গ্রেফতার হলদিয়ার প্রাক্তন কাউন্সিলর সত্যব্রত। পৌরসভার টেন্ডার কমিটির চেয়ারম্যান থাকাকালীন দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই নিয়ে শুভেন্দুর তীব্র সমালোচনা করেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষও।