ভাঙড়: 'যাঁরা ডিএ-র দাবিতে (Pending DA Agitation) আন্দোলন করছেন, তাঁরা বলছেন ডিএ না দিলে পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) অংশ নেবেন না। এঁরা যদি বুথে ভোট করাতে আসেন তা হলে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই।' প্রচ্ছন্ন হুমকির সুরে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের (Kaizer Ahmed)।


আর কী বলেছেন?
'যাঁরা রাস্তায় বসে আন্দোলন করে বলছেন ডিএ দাও, ভাতা দাও, বলছেন ভোট করতে যাব না, বেশি করে পয়সা দিতে হবে, 'এঁরা যখন বুথে আসবেন নিজেদের লোক বলে চাটাচাটি করে নেবেন না', স্পষ্ট বার্তা কাইজারের। এর পরই বলেন, 'ভোট দিয়ে ব্যালটে ডিসটার্ব, আবার এখানে এসে ডিসটার্ব করবে। ওঁদের ডিসটার্বগিরি ছাড়িয়ে দিতে হবে।' তাঁর কথায়, 'আগে বুথের মধ্যে অনেককিছু কায়দা করত, সেগুলো বলে লাভ নেই। ওঁদের কিন্তু মুরগির মাংস খাওয়ানোর চিন্তাভাবনা করার দরকার নেই, চাপে রাখবি।' বিষয়টি নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হলে পরে নিজের কথা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। 'ডিএ নিয়ে যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের মধ্যেই অনেকে প্রিসাইডিং অফিসার হবেন। আমাদের কর্মীদের মধ্যে বাইরে থেকে লোকজন এলে আতিথেয়তার দিকটি মাথায় রাখা হয়। এটা ভাঙড়ের মানুষের সংস্কৃতি। এর মাঝে অনেকে আদর-আপ্যায়ন করে রান্না করেও খাওয়ান। আমি এবার শুধু বলেছি, বেশি আতিথেয়তা করবি না।' যদিও বিষয়টির এই ব্যাখ্যা নিয়ে সংশয়ী রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। প্রসঙ্গত, অতীতেও বিতর্কে জড়িয়েছেন ভাঙড়ের এই তৃণমূল নেতা।


অডিও ক্লিপ বিতর্ক...
গত নভেম্বরের ঘটনা। ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা ফজলে করিমের জুতোপেটা করার ভিডিও ভাইরাল হলে পড়ে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ভিডিওয় দেখা যায়, পারিবারিক বিবাদে সালিশি সভা ডেকে জুতোপেটা করেছিলেন ফজলে করিম। যদিও ভিডিওর সত্যতা এবিপি আনন্দ আলাদা করে যাচাই করেনি। তবে স্থানীয়দের একাংশের ধারণা ছিল, গোটাটাই তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফলাফল। আইএসএফ যোগের অভিযোগ এনে কাইজারের নামে অডিও ক্লিপ দাবি করেছিল বিরোধী গোষ্ঠী। বলা হয়, তিনি ভিতরে ভিতরে আইএসএফ। তাই বিধানসভা ভোটে ভাঙড় কেন্দ্রে হেরে গিয়েছিল তৃণমূল। অভিযোগ খারিজ করে কাইজার দাবি করেছিলেন, 'সে সময় আমি ঘরছাড়া ছিলাম। ISF’এর সঙ্গে একবার যোগাযোগ হয়েছিল। এখন এসব নিয়ে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে তৃণমূলের নতুন নেতারা।' তার পরই এই নতুন অডিও ভাইরাল হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লা অবশ্য বলেছিলেনন, ‘দল এই ধরনের কাজ বরদাস্ত করে না। খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে শুনছি পুরনো ঘটনা', ভাইরাল ভিডিও নিয়ে দাবি তাঁর। এই নিয়ে ফজলে করিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি সে সময় উত্তর দেননি।


আরও পড়ুন:মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ বিকাশরঞ্জনের