সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: তৃণমূলের (TMC) জেলা কমিটি (district committee) ঘোষণার পরেই ক্ষোভ উগরে দিলেন কেশপুরের (Keshpur) তৃণমূল নেতা মহম্মদ  রফিক। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার (Ghatal) অন্তর্গত কেশপুরের ভোটার হলেও তাঁকে ইচ্ছে করে কেশপুর থেকে সরিয়ে রাখার জন্য মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটিতে রাখা হয়েছে, অভিযোগ মহম্মদ রফিকের। 


কী ঘটেছিল?
মহম্মদ রফিকের অভিযোগ, তিনি ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত কেশপুরের ভোটার।  ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার প্রথম তালিকাতে তাঁর নামও ছিল। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। উল্টে মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে রাখা হয়। আর তার পরেই দলের একাংশকে এক হাত নিয়েছেন দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেতা মোহম্মদ রফিক। তোলাবাজ, ধান্দাবাজদের নিয়ে দলের একাংশ চলছে, অভিযোগ তাঁর। সঙ্গে জানালেন, দলে শোনার লোক কম। আরও বললেন,  'ধাক্কা খেতে খেতে এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছি যে দল কী দিল আর কী না দিল, কিছু যায় আসে না।' প্রসঙ্গত, এর আগেও নানা ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের অন্তর্কলহ। গত কালই যেমন তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার কমিটি ঘোষণা নিয়ে প্রকাশ্যে চলে আসে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! বহরমপুরে তালিকা প্রকাশের আগেই ক্ষোভপ্রকাশ করে উঠে যান জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান! অন্যদিকে জঙ্গিপুরে জেলা কমিটির তালিকা নিয়ে জেলা সভাপতিকে নিশানা করেন সুতির তৃণমূল বিধায়ক!


পর পর এক ঘটনা?
একে মুর্শিদাবাদে রক্ষে নেই, জঙ্গিপুর দোসর! প্রথমে জেলা কমিটি ঘোষণা নিয়ে মুর্শিদাবাদে যখন জেলা সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায়ের বিরুদ্ধে তাঁকে না জানানোর অভিযোগ তুলে বেরিয়ে যান জেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের খান। মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান ও তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ আবু তাহের খানের কথায়, 'আমি থাকছি না, তোমরা কর। আমি জানি না যেটা, আমার সঙ্গে আলোচনাই হয়নি, আমি লিস্টও তো দেখিনি। লিস্টটা এখন দেখাচ্ছো আমাকে'। একই ছবি দেখা যায় জঙ্গিপুরেও! জেলা কমিটি ঘোষণার সাংবাদিক বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান সুতির তৃণমূল বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস! এরপর নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ফিরে তৃণমূলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সাংসদ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি! সুতির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক, ইমানি বিশ্বাসের কথায়, ২০২১-এর নির্বাচনে সামশেরগঞ্জে আমিনুল সাহেবকে হারানোর জন্য নিজের ভাইকে অধীর চৌধুরীর মাধ্যমে টিকিট পাইয়ে দিয়েছিলেন। আমরা সেটা হতে দিইনি। সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর পুরভোটে উনি সিপিএম প্রার্থীদের সহযোগিতা করেছিলেন । উনি একের পর এক কংগ্রেস ও সিপিএমের থেকে টেন্ডার নিয়ে তৃণমূলকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।' 


আরও পড়ুন:খরচ হয়েছে সাড়ে চারশো কোটি, আজ ধনধান্য অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন