সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : সোমবারই গোপনপুরী থেকে,আইনজীবী মারফত মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন করেছিলেন সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান । আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে অবস্থান বদল করলেন তিনি। আদালতে তাঁর আইনজীবী জানালেন, মামলায় পার্টি হতে চান না শেখ শাহজাহান। 


সোমবারই মামলায় পার্টি হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন শেখ শাহজাহান। সোমবার হাইকোর্টে তাঁর আইনজীবী বিশ্বরূপ মুখোপাধ্য়ায় সওয়ালে বলেছিলেন, তাঁরা ECIR দেখেননি, তাঁদের বক্তব্য় পেশের সুযোগ দেওয়া হোক।  আর তার ঠিক একদিন পরেই সন্দেশখালির বেতাজ বাদশার আইনজীবী  জানালেন, 'যদি আদালত মনে করে যে এই মামলায় তাঁর উপস্থিতির প্রয়োজন আছে তাহলেই আবেদন করবেন শেখ শাহজাহান'। তাঁকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ, অথচ, হামলাকাণ্ডের ১০ দিন পর, অন্তরালে থেকেই মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন শেখ শাহজাহান। আর তারপর অবস্থান বদলও করে ফেললেন। 


ED-র ওপর হামলার পর, ১১ দিন পার হয়ে গিয়েছে । এখনও অধরা তৃণমূলের দাপুটে নেতা শেখ শাহজাহান।  যার নামে একটা সময় সন্দেশখালিতে বাঘে-গরুতে জল খেত, তিনি এখন কোথায়? এই প্রশ্ন তুলেছে আদালতও। সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্য পুলিশের তদন্তে সংশয়ও প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, রাজ্য সরকার এখনও ন্যাজাট থানার তদন্তে ভরসা রাখছে কী করে? হামলার দিনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্তকে কি গ্রেফতার করা হয়েছে? তখন উত্তরে রাজ্য় সরকারের আইনজীবী জানান, এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার হয়েছে।  তখন বিচারপতি বলেন, ১ হাজার জনের মধ্যে ৪ জন গ্রেফতার হয়েছে তাইতো ? 


সোমবার আদালতে এই প্রশ্ন ওঠার পরই সন্দেশখালিকাণ্ডে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৭। সোমবার ন্যাজাটের হাটগাছি থেকে গ্রেফতার হয় আনামুল শেখ ও আজিজুল শেখ। এদের দু’জনের বাড়ি সরবেড়িয়ার আগাড়হাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় আজগাড়া গ্রামে। অপর ধৃত হাজিনুর শেখকে পুলিশ কানমারি ফেরিঘাট থেকে গ্রেফতার করা হয়। 

ঘটনার ১১ দিন পরও অধরা শাহজাহান। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, 'পুলিশের আশ্রয়ে সন্দেশখালিতে সরবেড়িয়া থেকে ধামাখালির মধ্যে ভেড়ির মধ্যে তাঁকে রাখা হয়েছে, পুলিশ প্রোটেকশনে তাঁকে রাখা হয়েছে। এই মামলা যদি কলকাতা হাইকোর্ট CBI-কে ট্রান্সফার না করে বা NIA-কে ট্রান্সফার না করে শাহজাহান অধরাই থেকে যাবে, ধরা পড়বে না। '  

পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীকেই কটাক্ষ করেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন ,  ' এই CBI-এর FIR নেমড আসামি, চোর শুভেন্দু নিজে। তা CBI তো শুভেন্দুকেই ধরছে না। শুভেন্দু বিজেপিতে গেছে গ্রেফতার এড়াতে, ওতো বিজেপি আছে বলে ওকে ধরছে না, তার মুখে আবার বড় বড় কথা। '  


আরও পড়ুন : 


৫০ কিলোর পেল্লায় মাছ থেকে চুনোপুটি, ব্যান্ডেলের মাছের মেলায় মন মজল বাঙালির