কলকাতা : প্রতিবারের মতো এবারও ধর্মতলায় ২১-এর সমাবেশে (Dharmatala 21 July Rally) যোগ দেবে শহিদ বন্ধন দাসের পরিবার (Shahid Bandhan Das's Family)। শ্যামবাজারের ডালিমতলা লেনে পুরসভার আবাসনে থাকেন মা ধর্মিদেবী ও ভাই অনুপ দাস। ভাইকে রেলে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। 


পরিবারের দাবি, আজও আপদে-বিপদে পাশে থাকে তৃণমূল। নিহতের ভাই বলেন, ঘটনা যখন ঘটে তখন আমার বয়স ছিল ১০ বছর। আমি এখানে ছিলাম না, দেশের বাড়িতে ছিলাম। ওই ঘটনার পর আমি মেট্রো রেলে চাকরি পেয়েছি। প্রত্যেক বছর মা-কে টাকা দেন দিদি। এবারও প্রথমে দিদির বাড়িতে যাব। দিদির সঙ্গে দেখা করে পরে স্টেজে যাব। প্রত্যেক বছরই যাই। 


আরও পড়ুন ; 'প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই দিদিকে', একুশের সমাবেশে উঠল দাবি


১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই অতীন ঘোষের নেতৃত্বে ধর্মতলায় গিয়েছিলেন বন্ধন। ২৯ বছর আগে, সেই দিনটায় মায়ের সঙ্গে কর্মসূচিতে গেছিলেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে মা কোনওমতে বাড়িতে ফিরতে পেরেছিলেন। কিন্তু, ছেলেকে খুঁজে পাননি। কিছুক্ষণ পর, আসে একুশ বছরের তরতাজা ছেলের মৃত্যু সংবাদ। আজও ছাদে উঠে একদৃষ্টে চেয়ে থাকেন রাস্তার দিকে। ছেলের কথা বলতে গেলে বুজে আসে মায়ের গলা।


কী বলছেন সেদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ?


সেদিনের গুলি চলার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বন্ধনের প্রতিবেশী উত্তম রাম। তিনি বলেন, "আমরা শান্তিতে মিছিল করছিলাম। মঞ্চের কাছে ছিলাম। প্রত্যেকবারই অতীনদার নেতৃত্বে যাই। অতীনদা আহ্বান করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিটিং আছে। আমরা সবাই গাড়ি করে গেলাম। মিটিংয়ে সব শুনছিলাম। হঠাৎ দেখি, একটা ভিড় আসছে । গুলি চলছে। কোথায় পালাব সেই রাস্তা নেই। হঠাৎ করে এসে ওর ঊরুতে গুলি লাগে।  পড়ে যায়। অতীতদা ছিলেন। তিনি নিজের গাড়ি করে তুলে নিয়ে যান মেডিক্যালে। তিন দিন চেষ্টা করা হল। রক্তের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাও বাঁচানো যায়নি।"