Digitization or E-Office: কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government of India) সমস্ত বিভাগে ডিজিটাইজেশন বা ই-অফিস (Digitization or e-office) কার্যকর করা হয়েছে। বুধবার লোকসভায় (Loksabha) এমনটাই জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি জানানো হয়েছে পরিবেশ মন্ত্রক, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থমন্ত্রক, কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক, প্রশাসনিক সংস্কার ও জন-অভিযোগ বিভাগের ক্ষেত্রে তাদের নির্দিষ্ট পোর্টালে (Portal) নাগরিকদের আবেদন এবং অভিযোগ জমা দেওয়ার সুবিধা দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় কর্মী প্রতিমন্ত্রী (Union Minister of State for Personnel) জিতেন্দ্র সিংহ (Jitendra Singha) লোকসভায় লিখিত ভাবে একথা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ডিজিটাল সেক্রেটারিয়েট (Digital Secretariat) বা সচিবালয়ের অংশ হিসেবে ভারত সরকারের সমস্ত মন্ত্রণালয় এবং বিভাগে ই-অফিস কার্যকর করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় রেজিস্ট্রি ইউনিটগুলোও ডিজিটাইজড অর্থাৎ ডিজিটাল করা হয়েছে। এর পাশাপাশি মন্ত্রী জানিয়েছেন মেম্বারস অফ পার্লামেন্ট লোকাল এরিয়া ডেভেলপমেন্ট স্কিম (এমপিএলএডিএস)- এর ওয়েবসাইটে সংসদ সদস্যদের কাজের জন্য অনলাইন সুপারিশ করার এবং তার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করার সুবিধাও দেওয়া হয়েছে। 


সাধারণত সরকারি অফিসে বা বিভিন্ন মন্ত্রকের বিভাগে ধীর গতিতে কাজ হয় বলে অভিযোগ করেন আমআদমির প্রায় সকলেই। এবার ডিজিটাইজেশন তথা ই-অফিসের পদ্ধতি কার্যকর হলে সেই সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফিজিক্যাল কাজের তুলনায় মেশিনের সাহায্যে কাজ করা যাবে অনেক সহজে। ফলে গতি বাড়বে কাজের। এছাড়াও ভুলত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনাও কমবে। এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীদেরও কাজে সুবিধা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া এই কোভিড পরিস্থিতিতে বাড়িতে বসে কাজ করার সুযোগও হয়তো পাওয়া যাবে। এর পাশপাশি ই-অফিস চালু হওয়া বিভাগগুলিতে সাধারণ মানুষের যদি কোনও আবেদন জমা দেওয়ার থাকে, তাহলে সেটাও অনলাইনে করা সম্ভব হতে পারে। যার ফলে বয়স্ক মানুষদের কাজে সুবিধা হবে। সশরীরে সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা মন্ত্রকে না গিয়েও কাজ করতে পারবেন আমজনতা। 


আরও পড়ুন- পিছিয়ে গেল জয়েন্টের মেন সেশন ২-এর পরীক্ষা, আগামীকাল পাবেন অ্যাডমিট কার্ড