কলকাতা: শাসকদলের সাংসদ তিনি। নেত্রীর ঘনিষ্ঠও। তাও নন্দনে নিজের ছবি নিয়ে যেতে পারেননি দেব (Dev)। তা নিয়ে বিতর্কের মধ্যে এ বার মুখ খুললের রাজ্যের মন্ত্রী এবং শাসকদলের (TMC) শীর্ষস্থানীয় নেতা ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। বিতর্কের কিছু নেই, পদ্ধতিগত কারণেই দেবের ছবির প্রদর্শনী আটকে গিয়ে থাকতে পারে বলে মন্তব্য করলেন তিনি (Projapoti Controversy)। 


পদ্ধতিগত কারণেই দেবের ছবির প্রদর্শনী আটকে গিয়ে থাকতে পারে!


একদা তৃণমূল তথা অধুনা বিজেপি মিঠুন চক্রবর্তী এবং দেব অভিনীত 'প্রজাপতি' ছবিকে ঘিরেই বিতর্ক। দেবের জন্মদিন এবং বড়দিন, একই সঙ্গে। সেই সন্ধি ক্ষণে মুক্তি পাওয়া ছবিকে ঘিরে তুমুল উৎসাহ ছিল গোড়া থেকেই। ইতিমধ্যে ভাল সাড়াও মিলতে শুরু করেছে। কিন্তু বাঙালির ঐতিহ্যের নন্দন, মাল্টিপ্লেক্সের রমরমার মধ্যে সাবেরিয়ানার শেষ প্রতীক নন্দনেই শো পায়নি 'প্রজাপতি'।


শনিবার নিজেই তা নিয়ে আক্ষেপ করেন দেব। ট্যুইটার পোস্টে লেখেন, 'এই বার তোমাকে মিস করব নন্দন। কোনও সমস্যা নেই। পরের বার ফের দেখা হবে'। তাঁর এই ট্যুইট সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। শাসকদলের সাংসদই যেখানে নন্দনে শো পাচ্ছেন না, সেখানে সরকারের সমালোচনা করা পরিচালক বা অভিনেতারা কী করবেন ওঠে প্রশ্ন। শুধু তাই নয়, শিল্পী মিঠুনের রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণেই ছবি দেখাতে দেওয়া হল না, এমন অভিযোগও উঠে আসছে।


আরও পড়ুন: Dev Adhikari: মিঠুন রয়েছেন বলেই কি! নন্দনে ব্রাত্য 'প্রজাপতি', আক্ষেপ দেবের


রবিবার সেই বিতর্কে মুখ খোলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা শহর কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, "নন্দনে শো না পাওয়ার বিষয়টির কারণ হল যে, নন্দনে ছবি দেখানোর বুকিং হয়। আগে থেকে সেই বুকিং সেরে রাখতে হয় সংশ্লিষ্ট ছবির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন যাঁরা, তাঁদের। এই বুকিংয়ের বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে নেই। হতে পারে 'প্রজাপতি' ছবির জন্য আঘে চিঠি দেওয়া হয়নি। অন্য কেউ আগে চিঠি দিয়েছেন। তাই মিঠুন চক্রবর্তী রয়েছেন বলে প্রজাপতি শো পেল না , তা সত্য নয়। কারণ ওই ছবিতে দেবও রয়েছেন।"


'প্রজাপতি'র নন্দনে জায়গা না পাওয়ার নেপথ্যে রাজনীতি!

যদিও 'প্রজাপতি'র নন্দনে জায়গা না পাওয়ার নেপথ্যে রাজনীতিই রয়েছে বলে মত নাট্যব্যক্তিত্ব তথা অভিনেতা কৌশিক সেনের। তাঁর বক্তব্য,  "যাঁরা ছবি দেখতে ভালবাসেন, তাঁদের জন্য খারাপ খবর। নন্দনে ছবি দেখতে যাওয়া নির্দিষ্ট সংখ্যক দর্শক রয়েছেন। তাঁরা নন্দনেই ছবি দেখতে ভালবাসেন। নিশ্চয়ই অপেক্ষা করেছিলেন তাঁরা। অপরাজিতার ক্ষেত্রেও হয়েছিল। এ বারও হল। তাই এর নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ খোঁজা খুব অন্যায় হবে না।"