কলকাতা, মেদিনীপুর: কামড়-বিতর্কে এ বার পুলিশের হয়ে ব্যাট ধরলেন পিংলার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক অজিত মাইতি (Ajit Maity)। পুলিশের তত্ত্বই উঠে এসেছে তাঁর মুখে। পুলিশকে কামড়ালে, পুলিশ কামড়াবে না তো কি রসগোল্লা ছুড়বে, প্রশ্ন তুলেছেন অজিত (Police Bits Agitator)। তাঁর এই মন্তব্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। শুদ্ধিকরণের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের কামড়ে আক্রান্ত অরুণিমা পাল। অন্য দিকে, বিজেপি-র (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) দাবি, আসলে নিয়ন্ত্রণই হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে রাজ্য সরকারের। 


পুলিশের কামড় নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূল বিধায়কের


মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর হলে যুব তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত বিজয়া সম্মেলনের অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন পিংলার তৃণমূল বিধায়ক তথা দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কোঅর্ডিনেটর অজিত। তিনি বলেন., "গোটা সরকারকে অপদস্থ করার চেষ্টা। পুলিশকে কামড়ে দেয়। তার বিনিময়ে পুলিশ কামড়ে দেবে না তো কি, রসগোল্লা খাওয়াবে! মমত্ববোধ এবং দরদ রেখেই বলছি, চক্রান্ত চলছে বাংলা জুড়ে। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।"


অজিতের এই মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া চাইলে আক্রান্ত অরুণিমা বলেন, "এতে কী বলব আমি! কিছু কথার উত্তর অপ্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়। রুচিতে বাধে। এই ধরনের অসংবেনশীল বার্তা সমাজকে খারাপ বার্তা দিচ্ছে। শুদ্ধিকরণ হোক। এই অৈতিক অধঃপতন থেকে মুক্তি চাই।"


আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: চাকরিপ্রার্থীকে কামড়ে দেওয়া পুলিশকর্মী তাঁর নবান্ন অভিযানেও ছিলেন, দাবি শুভেন্দুর


অজিতের মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দিলীপও। তাঁর কথায়, "এবার তো মনে হচ্ছে অজিতও কামড়ে দেবেন! কোনও সভ্য দেশে এমন হতে পারে! পুলিশকে কি কামড়ানোর ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে! যে শুনছে, হাসছে এবং অবাক হয়ে যাচ্ছে। সরকার না মানলেও, পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। আসলে পুলিশেরও দোষ নয়। তাদের যে ভাবে দিনরাত রগড়ানো হচ্ছে, তাতে হতাশা তৈরি হচ্ছে। নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না তাঁরা।"


মানুষের কামড়েই ক্ষত হয়েছে অরুণিমার হাতে, জানাল হাসপাতাল


এ দিকে, সরকারি হাসপাতালের প্রেসক্রিপশনেও বলা হল, মানুষের কামড়েই ক্ষত হয়েছে অরুণিমার হাতে। আজ সকালে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হাতের ক্ষত পরীক্ষার জন্য আসেন অরুণিমা। তাঁর হাত পরীক্ষা করে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিত্‍সক লেখেন, হিউম্যান বাইট, অর্থাত্‍, মানুষের কামড়ের চিহ্ন মিলেছে চাকরিপ্রার্থীর হাতে। অরুণিমাকে ঘটনার পর গ্রেফতার করা হলেও অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।