Kaligunj News: দলের অনুমতি ছাড়া কেন কালীগঞ্জের পরিবারকে সাহায্য়? হুমায়ুন কবীরকে শোকজ। ডেবরার তৃণমূল বিধায়ককে শোকজ করল দল। 'দলের অনুমতি ছাড়া কেন তামান্না খাতুনের মাকে আর্থিক সাহায্য় করতে গেলেন?' বিধায়কের আচরণ দলের ভাবমূর্তিকে আঘাত করেছে। ডেবরার তৃণমূল বিধায়ককে শোকজ করল দল। 'আমি ব্যক্তিগতভাবে কালীগঞ্জ গেছিলাম। আমি অসুস্থ, এখনও চিঠি পাইনি, পেলে উত্তর দেব, প্রতিক্রিয়া হুমায়ুন কবীরের, গতকাল আর্থিক সাহায্য় করতে গেলে হুমায়ুনকে ফিরিয়ে দেয় পরিবার। 

তৃণমূলের বিজয়োল্লাস থেকে ছোড়া বোমায় মৃত্য়ু হয়েছে ন'বছরের তামান্না খাতুনের। এবার কালীগঞ্জের নিহত বালিকার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য় দিতে গিয়ে, প্রবল ক্ষোভের মুখে পড়লেন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। সটান অর্থ সাহায্য় প্রত্যাখ্যান করল গরিব পরিবার। যদিও তৃণমূল বিধায়কের দাবি, অরাজনৈতিক সংগঠনের তরফে গেছিলেন তিনি। মানুষ হিসেবে গিয়েছেন। 

বুধবার তামান্নার বাড়িতে আর্থিক সাহায্য নিয়ে গিয়েছিলেন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। আর্থিক সাহায্য নেবেন না, সাফ জানিয়ে দেন তামান্নার মা। এর আগে সরকারের তরফেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা হয়েছিল যখন, তখনও তামান্নার মা সাবিনা বলেছিলেন টাকা তিনি দেবেন, তাঁর মেয়েকে যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়। গতকাল তামান্নার মা আরও অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁর মুখ বন্ধ করার জন্যই টাকা দিতে আসা হয়েছিল। কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক ঘটনা। শাসক দলের বিজয়োল্লাসের সময় ছোড়া বোমাতে নৃশংস ভাবে মৃত্যু হয়েছে ৯ বছরের বালিকার। বুধবার নিহত বালিকার বাড়িতে আর্থিক সাহায্য নিয়ে হাজির হয়েছিলেন শাসক দলের বিধায়ক (ডেবরা) হুমায়ুন কবীর। 

নিহত বালিকার মায়ের অভিযোগ, 'মুখ বন্ধ' করার জন্যই তাঁকে টাকা দিতে আসা হয়েছিল। এদিকে বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের দাবি, তিনি একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে সাহায্য করতে এসেছিলেন। বিধায়ক বলেন, 'আমার কোনও কর্মসূচি নয়। আমি একজন মানুষ হিসেবে এসেছি। এটা মানবিকতার বিরুদ্ধে অপরাধ। প্রত্যেকটা মানুষের গর্জে ওঠা উচিত। যার কাছেই বোমা থাকবে যে কোন দলের, কোন বর্ণের, কোন ধর্মের মানুষ দেখার দরকার নেই। প্রত্যেকটা মানুষের গর্জন করা উচিত।' 

FIR-এ নাম ২৪-এর, ৩ দিনের মাথায় গ্রেফতার ৫। পুলিশের বিরুদ্ধে চরম ক্ষুব্ধ তামান্নার বাবা-মা। সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় তামান্নার পরিবার। গতকালই তামান্নার মা সাবিনা ইয়াসমিন শেখ অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের তদন্তে আস্থা নেই তাঁর। পুলিশ আগে থেকে সব জানত বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। সাবিনার কথায়, 'পুলিশ সব জানত। তাও আসেনি। বারবার মোলান্ডি গ্রাম থেকে বোমা উদ্ধারের কথা বলা হলেও পুলিশ তা করেনি।'