কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : সম্প্রতি নানা ইস্য়ুতে তৃণমূলের ( TMC ) বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়েছে বিরোধীরা। আলাদা আলাদাভাবে হলেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে তারা। কিন্তু, বিরোধী ঐক্য়ের বিষয়টি অন্য় মাত্রা পেয়েছে সাগরদিঘিতে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর জয়। এবং তারপর দিলীপ ঘোষ ( Dilip Ghosh )  ও শুভেন্দু অধিকারীর ( Suvendu Adhikari ) মহাজোট-বার্তায়। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, রবিবারই বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন মঞ্চে একসঙ্গে দেখা গেছিল কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী এবং বিজেপি নেতা রাহুল সিন্হাকে। সোমবার আবার সেই মঞ্চে পৌঁছে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি।         


সাগরদিঘিতে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর জয়ের পর অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, তৃণমূলকে উৎখাত করতে হলে, বিরোধীদের ঐক্য়বদ্ধ হতে হবে। এবার একধাপ এগিয়ে দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীরা তৃণমূল বিরোধী ঐক্যের পক্ষে সওয়াল করলেন। রাজ্য় রাজনীতিতে সলতে পাকাচ্ছে নতুন সমীকরণ? আর এবার বিরোধীদের তরপে উঠলেন তৃণমূল বিধায়ক। ইদ্রিশ আলির গলায় হুমকির সুর ' যদি কেউ মনে করে হুমকি তো হুমকি। কারণ মমতা মাদার টেরেসা। দ্বিতীয়বার বলুক, জিভ কেটে নেওয়া হবে। এবং হাত-পা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের কত জনসমর্থন জানে না? '              

আরও পড়ুন:


 'সারদা কেলেঙ্কারির আসল মুখ হল মমতা', শুভেন্দুর মন্তব্যের পরই এক সুরে আক্রমণ কুণাল-সেলিমের


সাগরদিঘির উপনির্বাচনের প্রচারে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য় শোনা গেছিল বিরোধী দলনেতা শুভেনদু অধিকারীর মুখেও! সাগরদিঘির ফলেও দেখা গেছে চমক! ২০১১ থেকে যে আসনে তৃণমূল একটানা তিনবার জিতেছিল, সেখানে বিরাট মার্জিনে জেতেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী। এরপর অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও শোনা গিয়েছিল বিরোধীদের একজোট হওয়ার প্রসঙ্গ। '২০২১-এ সিপিএম-কংগ্রেস জোট করেনি? জোটের নামে মহাঘোট ছিল না? তাদের ভোট ট্রান্সফার করেছিল বিজেপিকে। আর এবার সাগরদিঘিতে বিজেপি ট্রান্সফার করেছে। দেওয়া নেওয়ার সম্পর্ক। সুতরাং ওই সব করে লাভ নেই। তৃণমূলকে ওড়ানোর সাহস যে দেখাবে না, তাকে দেখতে হবে সর্ষের ফুল। আর আমারা আগামী দিন, কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপির যে নাট্য, এমনি নাট্য না, রাজনৈতিক চাতুরতার নাটক, অপপ্রচার, কুৎসার নাটক সেটাকে খতম করবই, এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ।' 


আগামীদিনে পঞ্চায়েত ভোটে কি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাম-কংগ্রেস-বিজেপির একজোট লড়াই দেখতে পারে রাজ্য়বাসী?