মুর্শিদাবাদ : পুকুরমন্থনের ফলে উঠে এল মোবাইল ফোন! আর সেই মোবাইল ফোনই না কি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই-এর কাছে হয়ে উঠতে পারে অমৃতের কলস। ৬৭ ঘণ্টা ধরে তন্নতন্ন করে তল্লাশির পর, পুকুর থেকে উদ্ধার হয় বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার দ্বিতীয় মোবাইল ফোন। গোটা পর্বটা ঘিরে ছিল টানটান নাটকীয় উত্তেজনা ! সিবিআই-এর দাবি, দুটি মোবাইল ফোন ফেলে দিয়ে ডিজিট্যাল এভিডেন্স নষ্ট করতে চেয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ।
সব মিলিয়ে খরচ ...
কিন্তু এরইমধ্য়ে তৃণমূল বিধায়ক জীবন সাহার সামান্য কৌশল, আর সিবিআইয়ের বড় ভুলের জেরে মাশুল চোকাতে হল কড়ায় গণ্ডায়। প্রায় ৩ দিন ধরে তৃণমূল বিধায়কের ২ টি মোবাইল খুঁজতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নাকানিচোবানি তো খেতেই হল, সঙ্গে কার্যত জলেই গেল হাজার হাজার টাকা। শুক্রবার বিকেল ৫ টা মোবাইল ফোন পুকুরে ছুড়ে ফেলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। ফোনের হদিশ পেতে শুক্রবার রাত ১০ টা নাগাদ বসানো হয় ১ টি মোটরপাম্প।
শনিবার সকালে বসানো হয় আরও ২ টি পাম্প। এর মধ্যে ১ টি বিদ্যুৎচালিত ও ২ টি ডিজেলচালিত। রাতে সার্চ অপারেশন চলায় আনা হয় ১ টি বড় এলইডি লাইট। সব মিলিয়ে খরচ হয় আনুমানিক ২০ হাজার টাকা।
এখানেই শেষ নয়, শনিবার দিনভর জল তোলার পর রবিবার মোবাইল খুঁজতে প্রথমে নামানো হয় ৪ জনকে। পরে মোবাইল উদ্ধারের কাজে পুকুরে নামানো হয় ১০ জনকে রবিবার ও সোমবার মিলিয়ে মোবাইলের খোঁজে নামানো হয় ২৮ জনকে। এদের প্রত্যেকের মাথাপিছু চার্জ ৫০০ টাকা। অর্থাৎ, এখানেও খরচ হয় ১৪ হাজার টাকা । জীবন সাহার ফোন খোঁজার খরচ এখানেও শেষ হয়নি। সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ পুকুরের মাটি কাটতে আনা হয় জেসিবি মেশিন ও ট্রাক্টর।
জেসিবি মেশিন ও ট্রাক্টরের ভাড়া ঘণ্টায় ২ হাজার টাকা করে ৭ ঘণ্টার জন্য আনা হয়েছিল জেসিবি ও ট্রাক্টর এর জন্যও খরচ হয় ১৪ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে খরচের হিসেব পৌঁছে যাচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার টাকার কাছাকাছি। জানালেন সাবলদহ তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সাধন প্রামাণিক।
গ্রেফতারির পর সোমবার তৃণমূল বিধায়ককে শুক্রবার পর্যন্ত ৪ দিন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুর জাজেস কোর্ট। হেফাজতে থাকাকালীন পরিবারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতিও দিয়েছেন বিচারক।