কলকাতা : মঙ্গলবার রাত ৯ টা ৪০ মিনিট  । হুইলচেয়ারে বসে এসএসকেএমের উডবার্ন ব্লকে পৌঁছন। কামারহাটির বিধায়কের (Kamarhati MLS) অসংখ্য অনুগামীও তাঁর সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন হাসপাতালে।  জানা যায়, মদন মিত্রর (Madan Mitra) ভোকাল কর্ড অর্থাৎ স্বরযন্ত্রে টিউমার (Tumor) হয়েছে। তিনি নিজেও আশঙ্কাপ্রকাশ করে বলেন, ভোকাল কর্ডটা মনে হয় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।  মঙ্গলবার রাত থেকে তিনি ভর্তি এসএসকেএমে।


শেষপর্যন্ত অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিত্সকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কবে অস্ত্রোপচার হবে, তা সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকরা। গঠন হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সকাল ১১টায় আলোচনায় বসেন ডাক্তাররা।  ৮ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠিত হয়েছে।


বুধবার সকালে মদন মিত্রর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। একইসঙ্গে করোনা পরীক্ষার জন্যও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুধবার অস্ত্রোপচারের জন্য মেডিক্যাল বোর্ড সম্মত হলে অপটিক্যাল ফাইবার ল্যারিঙ্গোস্কোপ যন্ত্র দিয়ে টিউমারের পুঙ্খানুপুঙ্খ অবস্থান যাচাই করার পরীক্ষা করা হবে।


মদন মিত্রর জন্য তৈরি মেডিক্যাল বোর্ডে রয়েছেন ইএনটি বিভাগের অরুণাভ সেনগুপ্ত, এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের শুভঙ্কর চৌধুরী, ফুসফুস বিশেষজ্ঞ সোমনাথ কুণ্ডু-সহ আরও ৫টি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা। 


প্রসঙ্গত এদিনই তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে দলীয় শৃঙ্খলা নিয়ে কড়া বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলনেত্রীর হুঁশিয়ারি প্রথমে সতর্ক করা হবে। তারপর শোকজ। না শুনলে সাসপেন্ডের পথে হাঁটবে দল। পাশাপাশি নাম না করে মদন মিত্রকে কড়া বার্তা দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, 'উল্টোপাল্টা বলে ভাইরাল হলাম। এসব দল সহ্য করবে না। এটাই শেষ সুযোগ। বেরিয়ে যেতে চাইলে যেতে পারেন।' যে প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে মদন মিত্র জানান, 'পার্থ দা তো আমাকে গতকালই বলব। তবে ঠিক কী ভুল করছি সেটাই বুঝতে পারছি না। সেটা জানালে শুধরে নিতে সুবিধা হয়।'


যার উত্তরে চেনা মেজাজে মদন মিত্র বলেছিলেন, 'কেউ কেউ চাইছে বটে তবে তাদের বলে রাখি আমি শুভেন্দু অধিকারী নই।