বলাগড় : বলাগড়ে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিপুল সাম্রাজ্যের হদিশ । ইঙ্গিতপূর্ণ ফেসবুক পোস্ট বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর । 'একদলের পাতে পোলাও-মাংস, তারা ঘেউ ঘেউ করছে। আর একদল খালি পেটে গামছা বেঁধে রাতে ঘুমাতে যায়। আমি সবদিন ওই না খাওয়া লোকটির জন্য লড়েছি, লড়ব।' ইঙ্গিতপূর্ণ ফেসবুক পোস্ট বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর।


তৃণমূল বিধায়ক বলেন, "সমাজটা দুই ভাবে বিভাজিত। একদল লোকের কাছে অনেক কিছু আছে। আর একদন লোকের কাছে কিছু নেই। একদল লোক যাদের আছে, সেই শ্রেণির মধ্যে বহু লোক পড়ে। বহু ধরনের পেশার লোক পড়ে। আর একদল নীচে। তাদের কারও কিছু নেই। এই যে কিছু নেই, এদের কথা আছে দলের পক্ষের কেউ ভাবে না। গণসংগ্রাম । মানুষকে জেগে উঠতে হবে অধিকারের জন্য। প্রতিবাদ করতে হবে। লড়তে হবে।"


প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। যুব তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষ থেকে হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শাসকদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকে গ্রেফতার করেছে ইডি। উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা, মিলেছে অগাধ সম্পত্তির হদিশ।
দুর্নীতির এই চক্রের আসল মাথা কে? সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই, আরও প্রবলভাবে সামনে এসেছে তৃণমূল-যোগ! ইডি সূত্রে দাবি, জেরার মুখে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় স্বীকার করেছেন, স্কুলে চাকরি বিক্রিতে জড়িত ছিলেন তৃণমূলের অনেক নেতাই!


'বেনামে' বলাগড়ের বাদশা হয়ে উঠেছিলেন শান্তনু। হুগলি, হাওড়া-জুড়ে সদ্য বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনুর সাম্রাজ্য ছড়িয়ে। বিলাসবহুল রিসর্ট, ধাবা, হোম স্টে, গেস্ট হাউস থেকে একের পর এক বাড়ি । কীভাবে কয়েক বছরের মধ্যে টিনের মোবাইল দোকান থেকে বিপুল সম্পত্তির মালিক উঠলেন তিনি ? বলাগড়ে ধাবা, হোম স্টে। পুরশুড়া, জামালপুরে বেনামে বালি খাদান। এভাবেই পেঁয়াজের খোসার মতো একে একে হদিশ মিলেছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল সম্পত্তির! এদিকে দিনকয়েক আগেই অন্তরাল থেকে প্রকাশ্যে এসেছেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা। শান্তনুকে নির্দোষ বলে দাবি করে চান প্রশাসনিক সুরক্ষা। কুন্তলকে চিনতেন বলে স্বীকার করে নিয়েছেন শান্তনুর স্ত্রী। তাঁর নামে একাধিক সম্পত্তি থাকলেও প্রিয়ঙ্কার দাবি, স্বামীর এত সম্পত্তি সেটা পুরোটা জানতেন না।


শান্তনুর স্ত্রী দাবি করেন, ইডি তাঁকে এখনও ডাকেনি। ডাকলে তদন্তে সহযোগিতা করবেন বলেও তিনি জানান।