হিন্দোল দে, কলকাতা: আজ সিবিআই (CBI) দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন না সওকত মোল্লা (Soukat Molla)। ১৫ দিনের সময়সীমা চেয়েছেন ক্যানিং পূর্বের (Canning East) বিধায়ক। গতকালই রাতে এ নিয়ে ই-মেল করেছেন সওকত। সওকতের আইনজীবী আজ যাচ্ছেন নিজাম প্যালেসে।
সিবিআই দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন না সওকত: আরও এক তৃণমূল বিধায়ককে তলব করল CBI। কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক ও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সওকত মোল্লাকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এদিন হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। গতকাল মেল মারফত তিনি জানিয়ে দেন আজ হাজিরা দিতে পারছেন না। এর আগে এই মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে CBI।
CBI সূত্রে দাবি, আসানসোলের খনি থেকে অবৈধভাবে বের করা কয়লা নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হত। ক্যানিংয়ের ইট ভাটায় প্রতি মাসে প্রচুর কয়লা যেত। মোটা অঙ্কের টাকা তোলাবাজি করা হত। একাধিক ব্যক্তির বয়ানে সওকত মোল্লার নাম উঠে আসে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক ও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সওকত মোল্লা অবশ্য গতকাল দাবি করেন, “কয়লা পাচারের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। জীবনতলায় ৪-৫টি ইটভাটা আছে, সেখানে কোথা থেকে কয়লা আসে, কারা কয়লা দেয়, তা তিনি জানেন না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাঁর নাম এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। দলের উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।’’
সওকতকে সিবিআইয়ের তলব ঘিরে ইতিমধ্যেই তুঙ্গে রাজনৈতির তরজা। বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কেউ বাদ যাবে না, তৃণমূলের প্রত্যেকটা নেতা-মন্ত্রী কয়লা পাচার, গরু পাচার, বালি পাচার, পাথর পাচার সব জায়গায় যুক্ত হয়ে আছে, তৃণমূলের সত্যি বেরিয়ে আসছে, মুখোশটা খুলছে, এবার দেখবেন কীভাবে পার্টিটায় অর্ধেক নেতা-মন্ত্রী জেলের ভিতরে থাকবে।’’