পাঁশকুড়া : "আজকে জানেন তো, পদের বড় মোহ। আমি যদি পদে থাকতাম, তাহলে দেখতেন জেলার ডিএম, এসপি থেকে শুরু করে এখানকার চেয়ারম্যান...তাঁরা এই মঞ্চ অলঙ্কৃত করতেন।" ২৩ জানুয়ারি পাঁশকুড়ার অনুষ্ঠানে তৃণমূল বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্রের (Soumen Mahapatra) এই বক্তব্য এখন ভাইরাল। যা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।


সৌমেনবাবু আরও বলেন, "আমি তাঁদের (ডিএম, এসপি, চেয়রম্যান) শুভকামনা চাই। তাঁরা ভাল থাকুন। তাঁরা পদ নিয়ে থাকুন। আজকে তাঁদের কাউকে দেখিনি। কিন্তু, সবাইকে দেখতে পাচ্ছি। দেখুন, বিন্দু দিয়ে সিন্ধু হয়। আমরা যদি বিন্দু হই, তবে সিন্ধু রক্ষা পাবে। আর বিন্দু যদি না থাকে, সিন্ধু রক্ষা পায় না। সেই জায়গায় সম্মানীয় এসডিও থেকে আরম্ভ করে ডিএম থেকে আরম্ভ করে সবাইকে অন্তরের সঙ্গে জানানো হয়েছে। তবে, দেখা যাক। আমারও বয়স হয়েছে। আজ হয়তো আমার পদ নেই। আমি তো বিজ্ঞানের ছাত্র। বি়জ্ঞানে একটা জায়গায় বলা আছে, থ্রেশোল্ড লেভেল। সহ্য করতে করতে একটা জায়গা যদি অতিক্রম করে, তখন সেটা কিন্তু বিস্ফোরণ ঘটে। আমি চাই না, সেটা হোক। "


যদিও এনিয়ে পরে তৃণমূল বিধায়কের সাফাই, "আমি ক্ষোভ প্রকাশ করিনি তো। আমি বলেছি, তাঁরা কাজের মানুষ । কোনও কারণে তাঁরা উপস্থিত হতে পারেননি। তাঁর মানে, যাঁরা উপস্থিত হয়েছেন তাঁরাও সুধীজন, বিদ্বজন। ব্যস্ত মানুষ। সবেই তাঁরা আসতে পারবেন। এমন কোনও কথা নেই। এটাই ছিল আমার মন্তব্য।"


এ প্রসঙ্গে শাসক দলকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, "একজন এমএলএ বলছেন আমি পদে নেই। এমএলএ মানে, ২ লক্ষ- আড়াই লক্ষ মানুষের প্রতিনিধি। তা সত্ত্বেও, তাঁদের কথাতে ডিএম-এসপি আসেন না। এটা কত বড় ডিপ্রেসন তাঁর। পদে থাকা মানে, কোনও মন্ত্রী থাকা বা পিসি-ভাইপোর কাছাকাছি থাকা। এটাই বোঝাতে চাইছেন। এর থেকে বোঝা যায়, দলের ওপর দিক বা মন্ত্রিসভায় যাঁরা আছেন, তাঁরা কীভাবে এই এসপি-ডিএম এঁদের পরিচালনা করছেন, এঁরা দাসে পরিণত হয়ে গেছেন। সেটা উনি ঘুরিয়ে প্রমাণ করে দিলেন। এর থেকে বোঝা যায়, পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা কেমন চলছে !"


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে