কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: শাসক দলের বিধায়ক। তিনিই সরব হলেন পুলিশের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তির (Panchayat Poll Violence) ঘটনায় পুলিশকেই কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় (Tapash Roy) । যদিও বিরোধীদের দাবি, আদতে এটি চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা। আদতে এগুলি বলে পুলিশকেই বলির পাঁঠা করতে চাইছে তৃণমূল, দাবি বিরোধীদের।


পঞ্চায়েত ভোটে (anchayat Election) অশান্তি নিয়ে পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে বিস্ফোরক মন্তব্য় করলেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। শাসক বিধায়কের এই মন্তব্য়কে অবশ্য় আইওয়াশ বলেই মনে করছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য়, একথা বলে আসলে পুলিশকেই বলির পাঁঠা করতে চাইছে তৃণমূল।


কী বললেন বিধায়ক?
তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেন, 'ভোটের আগে এবং পরে যে ঘটনা ঘটল, তাতে পুলিশ যদি সক্রিয় থাকতো, যদি সতর্ক থাকতো, তাহলে অনেক কিছু, এই মৃত্যু, ঘটনা এড়ানো যেত।'


২০১৮ সালের মতোই এবারের পঞ্চায়েত ভোটেও বেলাগাম সন্ত্রাস দেখেছে পশ্চিমবঙ্গবাসী। শাসক-বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী তো বটেই। প্রাণ হারিয়েছে সাধারণ মানুষও। ৩৯ দিনে মৃত্যু হয়েছে ৫৫ জনের। পঞ্চায়েত ভোটের ফল বেরনোর পরেও হিংসা থামার লক্ষ্মণ নেই। নানা জেলা থেকে আসছে হিংসার খবর। আর এই বিষয়টি নিয়েই এবার বিস্ফোরক মন্তব্য় করলেন তাপস রায়। সব কিছুর জন্য পুলিশকে কাঠগড়ায় তুললেন বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক। তিনি বলেন, 'দুটো জিনিস করতে পারত পুলিশ। আগেভাগে গ্রেফতার করা এবং গোলা, বারুদ, অস্ত্র উদ্ধার করা। এই নিষ্ক্রিয়তা, ব্যর্থতা তো একটা অংশের বটেই।' এর আগেও পুলিশকে নিশানা করেছেন তাপস রায়। এবার তাঁর সংযোজন, 'ইনকম্পিটেন্ট পুলিশ আর মজা দেখা পুলিশ এই দুটো মিলে এই হাল করেছে। নাহলে এটা হত না।' এবার ফের একই সুরে সরব হলেন তিনি। বিরোধীরা অবশ্য় পুলিশ প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য়কে আইওয়াশ বলে কটাক্ষ করছে। তাদের দাবি, দল ও সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে পুলিশকে বলির পাঁঠা করার চেষ্টা করছে তৃণমূল।


রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'পুলিশ কি বলির পাঁঠা। পুলিশের ঘাড়ে বন্দুক রেখে লাভ নেই। পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সরাসরি তাঁর বিরুদ্ধেই বলুন। না কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধেই বলতে চাইছেন। এ তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।'


সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, 'পুলিশের ঘাড়ে বন্দুক রেখে তৃণমূল চালাচ্ছেন। কদিন তো তৃণমূল পুলিশের বন্দুক নিজের ঘাড়ে নিয়ে চালাচ্ছিল। পুলিশকে বুঝতে হবে, আইপিএস অফিসারকে বুঝতে হবে, আইএএস অফিসারকে বুঝতে হবে। ফেঁসে গেলে কেউ কারও নয়।'


ভোট মিটলেও বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি চলছে। আর তার দায় নিয়ে চাপানউতোরও অব্য়াহত।


আরও পড়ুন: সরকারি চাকরি পেয়েই ঘুষে মন! ১০ হাজারের লোভে হাতেনাতে পাকড়াও