কলকাতা: বিরোধী জোটের সমন্বয় বৈঠকে না গিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সামনে হাজির হয়েছিলেন। তার পর সকাল থেকে দফায় ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চলেছে। রাতে ED-র দফতর থেকে বেরিয়ে সুর চড়ালেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক লড়াইয়ে পেরে না উঠে, বিজেপি তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে দিয়ে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে বলে অভিযোগ করলেন। একই সঙ্গে নারদকাণ্ডে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল যে শুভেন্দু অধিকারীকে, তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না প্রশ্ন তুললেন তিনি। 


সিবিআই এবং ED-র মতো সংস্থাগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে এদিন প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। সম্প্রতি ফের নারকাণ্ডে সিবিআই সক্রিয় হওয়ায়, ম্যাথু স্যামুয়েলকে নোটিস পাঠানো নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে বলেন, "কী হবে? শেষ পর্যন্ত শূন্য। সাত বছর ধরে নারদকাণ্ডের তদন্ত চলছে। বাজার গরম করতে মাঝে দু'-তিনদিন ম্যাথুকে জেরা করেছে। সুদীপ্ত সেন নিজে বলেছেন যে শুভেন্দু অধিকারীকে টাকা দিয়েছেন তিনি। গ্রেফতার করা তো দূর একবারও ডাকা হয়নি তাঁকে। ডাকলে অন্তত বুঝতাম এই সংস্থা নিরপেক্ষ।"


নারদকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বলেন, "নারদকাণ্ড সবাই দেখেছে। টিভির পর্দায় টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। সমনও পাঠানো হয়েছিল। তার পর বিজেপি-তে চলে গিয়েছেন বলে আর ডাকা হয় না। বিচার ব্যবস্থার কথা বলছি, কারও বিরুদ্ধে কিছু না থাকলেও ডেকে পাঠানোর কথা বলছে। আর যাঁকে টিভির পর্দায় টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাঁকে ডাকা হচ্ছে না। আমি তৃণমূল করি বলে আইন আলাদা, আর বিজেপি করে বলে আলাদা আইন, এটা হতে পারে না। সিপিএম হোক নির্দল, সকলের ক্ষেত্রেই এ কথা প্রযোজ্য।"


Abhishek Banerjee: রাজনৈতিক কারণেই বেছে বেছে তাঁকে নিশানা? I.N.D.I.A জোট গঠনে তৃণমূলের গুরুত্বের জন্যই, বললেন অভিষেক


এক পরই সরাসরি নাম করে বিরোধী দলনেতাকে নিশানা করেন অভিষেক। বলেন, "শুভেন্দু অধিকারীকে টিভিতে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। তাঁকে কেন ED-CBI ডাকছে না? যাঁরা বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন কেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সংস্থা? আমি, আমার দলের সবাইকে গ্রেফতার করা হোক। আগে তার আগে শুরুটা হোক শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়ে। যাঁরা নারদায় আছেন, সবাইকে তুলুন।"


তদন্তকারী সংস্থাগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। জানান, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সিবিআই-কে কংগ্রেস ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বলতেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সময়েই বা তদন্তকারী সংস্থাগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা কী, প্রশ্ন তোলেন তিনি। তদন্তের নামে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, জেল হেফাজতে রেখে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ন'বছর ধরে সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন জেলে রয়েছেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে গত ন'মাস ধরে জেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এতদিনে কী সুরাহা হয়েছে, প্রশ্ন তোলেন তিনি।