কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর জহর সরকারকে (Jawhar Sircar Resign) ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সূত্রের খবর, ফোনের পর নিজের সিদ্ধান্তে অনড় বলে জানিয়েছেন জহর সরকার। 


জহর সরকারকে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর: রাত পোহালেই যখন আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজের চিকিৎসকের মৃত্য়ুর এক মাস...সুপ্রিম কোর্টে শুনানি, ঠিক তার আগেই জহর সরকারের ইস্তফা ঘোষণায় বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল। যার জেরে ময়দানে নামতে হল খোদ তৃণমূলনেত্রীকে। চিঠি পাওয়ার পরই জহর সরকারকে ফোন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেন তৃণমূল নেত্রী। যদিও তাঁকে জহর সরকার পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। পাল্টানো সম্ভব নয়। সূত্রের খবর, বেশ কিছুক্ষণ দুজনের কথা হয়েছে। জহর সরকারের মতামত শুনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জহর সরকার জানিয়ে দিয়েছেন, 'পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পিছিয়ে আসা সম্ভব নয়।' সূত্রের খবর তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন, 'মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করুন, চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলা শুরু হোক। জনগণকে হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়।' সূত্রের খবর, ১১ সেপ্টেম্বর দিল্লি যাচ্ছেন জহর সরকার, ১২ সেপ্টেম্বর পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।


তৃণমূল সাংসদের পদ থেকে ইস্তফা ঘোষণার পাশাপাশি লম্বা চিঠি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সতর্ক করলেন জহর সরকার। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, 'আমার এত বছরের জীবনে এমন ক্ষোভ ও সরকারের প্রতি সম্পূর্ণ অনাস্থা আগে কখনও দেখিনি। এখন সরকার যে সব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে তা এক কথায় অতি অল্প এবং অনেক দেরি হয়ে গেছে।  এই প্রতিবাদ শুধুমাত্র 'অভয়া'-র পক্ষে নয়, রাজ্য সরকার আর শাসকদলের বিরুদ্ধেও।  যখন সরকার তথ্যমূলক বা সত্য কোনও বক্তব্যও মানুষের সামনে রাখছে, তাঁরা একেবারেই বিশ্বাস করছেন না। আমাদের রাজ্য এই অসংযত দুর্নীতি এবং আধিপত্য মেনে নেবে না। আমি গত একমাস ধৈর্য ধরে আর জি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি আর ভেবেছি আপনি কেন সেই পুরনো মমতা ব্যানার্জীর মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না।' 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: R G Kar Protest: এত বড় ক্রাইম হওয়ার পরেও পুলিশ প্রশাসনের তরফে ধামাচাপার দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে: নির্যাতিতার মা