তালডাংরা : উপনির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, তত চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। তৃণমূল বা বিজেপি, উভয় দলের নেতারাই একে অপরকে বিঁধছেন। এবার সুর চড়ালেন তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী। 'তৃণমূলের ঝান্ডা খুলে দিলে ১৩ তারিখ তালডাংরার মানুষ আপনাদের কলিজা খুলে নেবে', তালডাংরায় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। ৫ নভেম্বর বাঁকুড়া সার্কিট হাউসে কমিশনের এক আধিকারিকের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের বৈঠকের অভিযোগও তোলেন অরূপ চক্রবর্তী।


যদিও এ প্রসঙ্গে পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো মন্তব্য করেছেন, তথ্য থাকলে নির্বাচন কমিশনে যান। তিনি বলেন, "অরূপবাবুকে এটুকুই বলব, যদি আপনাদের কাছে সেরকম কোনো তথ্য থাকলে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আপনারা জানান। এই দেশ গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে সবার অধিকার আছে জানানোর। কিন্তু, বাহুবল দেখিয়ে ভোটে জেতা যায় না। আপনারা যে ধমক-চমক দেখাচ্ছেন, সেটা এবার মানুষ দেখিয়ে দেবেন। আপনারা যে বলছেন, বিজেপিকে খুন করে দেব, বিজেপির কলিজা কেড়ে নেব...এসব যে কথাবার্তা বলছেন...এসব মানুষ আপনাদের ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেবেন। কারণ, মানুষ এবার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আপনাদের কলিজা কেড়ে নেবে।" তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তীর হুমকির বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের গোচরে এসেছে। এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে।


কী বললেন অরূপ চক্রবর্তী ?


তৃণমূল সাংসদ বলেন, "এখানে নির্বাচন কমিশনের একজন অফিসার আছেন, ৫ তারিখ রাত ৮টার সময় বাঁকুড়ার সার্কিট হাউসে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে মিটিং করেছেন। তৃণমূলের ঝান্ডা খুলে দেবেন ? ১৩ তারিখ আপনাদের কলিজা খুলে দেবে তালডাংরার মানুষ। এরা বিপুল ভোটে পরাজিত হবে।" 


এবার বাঁকুড়ার তালডাংরা বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে পুলিশকে তীব্র ভাষায় বিঁধেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, "ভোটে তো আমাদের তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই নয়, পুলিশের সঙ্গে লড়াই। পুলিশ সরিয়ে দিলে ১৫ মিনিটও তৃণমূল কংগ্রেস বলে কোনো দল থাকবে না। কোনো রাজনৈতিক দল থাকবে না। পুলিশ বলতে চাই পরিষ্কার করে শুনে রাখুন, সময় আসছে। মনে রাখবেন, চিরকাল কারো সমান যায় না। কখনো নৌকার ওপরে গাড়ি ওঠে, কখনো গাড়ির ওপরে নৌকা ওঠে। তাই পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, যদি দালালি করতে হয়...খাকি ছাড়ুন, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরে রাস্তায় নেমে রাজনীতি করুন। কত দম আছে আমরা দেখে নেব। কিন্তু, পুলিশের উর্দি পরে তৃণমূলের হয়ে দালালি করবেন না। তৃণমূলের হয়ে দালালি করলে, পুলিশের যে টুপিটা পরেন, ঘাড়ে যে অশোক স্তম্ভটা পরেন, সেই অশোক স্তম্ভ টুপি থেকে খুলে রাখুন। একটা হাওয়াই চটির সিম্বল ওখানে লাগিয়ে নিন। জনগণ ভাল সম্মান করবে। কম সে কম বলবে, যে তৃণমূল করছে। বুক ফাটিয়ে তৃণমূল করছে। বুক ফুলিয়ে তৃণমূল করছে। চুপ করে চুরি করে তৃণমূল কংগ্রেস করছে না। এই তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশের জন্য টিকে আছে।"