সোমনাথ দাস ও বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘাটালের (Ghatal) বন্য়া পরিস্থিতি (WB Flood Situation) পরিদর্শন করলেন স্থানীয় সাংসদ দেব (Dev)। দুর্গতদের মধ্য়ে ত্রিপল ও খাবার বিলি করেন। পাশাপাশি ঘাটালের (Ghatal) মহকুমা শাসকের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। খড়ারের একটি স্কুলের উন্নয়নের জন্য় নিজের সাংসদ তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ টাকা তুলে দেন তৃণমূল সাংসদ।


বৃষ্টি হলেই জলে ডুবে যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল। বছরের পর বছর যায়, কিন্তু ঘাটালের ছবি বদলায় না। এবারও বৃষ্টিতে জলে ডুবেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল। এই ঘাটালেই সাংসদ অভিনেতা দেব। রবিবার নিজের লোকসভা কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলেন দেব। নৌকায় চেপে ঘুরে দেখলে জলমগ্ন এলাকা। দেখা করলেন দুর্গতদের সঙ্গে, তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন, হাতে হাতে তুলে দিলেন ত্রিপল ও খাবার। 


গত কয়েকদিনের তুলনায় বন্য়া পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে ঘাটালে। বন্যা পরিস্থিতির সময় এদিন প্রথমে ঘাটালে আসেন তৃণমূল সাংসদ। ঘাটালের ৫ নম্বর ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন। ওই এলাকার পান্না গ্রামে যান। সেখানে পঞ্চায়েত অফিসে দুর্গতদের মধ্য়ে ত্রিপল ও খাবার বিলি করেন সাংসদ। বন্য়া পরিস্থিতিতে গ্রামবাংলায় সাপের উপদ্রব দেখা যায়। ছড়িয়ে পড়ে নানা রোগও। সেই পরিস্থিতি ঠেকানোর নিয়ে ঘাটালের মহকুমা শাসকের সঙ্গে আলোচনা করেন সাংসদ। তারপরেই দাসপুরের রাজনগরে যান তিনি। নৌকায় চড়ে পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাব সাংসদ দেব। এদিনই ডেবরাতেও বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান দেব। এদিন সাংসদ দেব বলেন, 'শীতল কপাট আসুন। দল মত নির্বিশেষে সবাই আসুন। পরিস্থিতি দেখে যান।' এদিন খড়ার একটি স্কুলেও যান দেব। নিজের সাংসদ সহবিল থেকে স্কুলের উন্নয়নের জন্য় ৫০ লক্ষ টাকা তুলে দেন।


ঘাটালের বিজেপি (BJP) বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, 'তৃণমূল সরকারে এমনিতেই আমাদের কাজ করতে দেয় না। তা সত্ত্বেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেব কী বললেন না বললেন আমার কিছু এসে যায় না। ঘাটাল মাস্টার প্ল্য়ানের জন্য় আমরাই এগিয়েছি।'


শনিবারই দেবের নামে নিখোঁজ পোস্টার পড়েছিল ঘাটালের বিভিন্ন এলাকায়। তারপরের দিন, অর্থাৎ রবিবারই ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন দেব। পোস্টার-বিতর্ক নিয়ে দেবের কটাক্ষ, 'আমার নামে পোস্টার না দিয়ে ওই টাকা গরিব মানুষকে দিতে পারত। টাকা নষ্ট না করে গরিব মানুষকে দেওয়া যেত।'


আরও পড়ুন: মহাসমারোহে পালিত বায়ুসেনা দিবস, প্রকাশ্যে IAF Crest