সমীরণ পাল, বারাসাত: আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ালেন বারাসাতের তৃণমূল সাংসদ। নিজের সংসদীয় এলাকার এমনই কিছু পড়ুয়ার হাতে তুলে দিলেন আর্থিক সাহায্য়। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া হলেও, মেধায় যাঁরা অনেক এগিয়ে, 
এমনই বেশ কিছু কলেজ ও বিশ্ববিদ্য়ালয়ের পড়ুয়ার হাতে মঙ্গলবার আর্থিক সাহায্য তুলে দিলেন বারাসাতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। (Kakoli Ghosh Dastidar)


৩৬ জন পড়ুয়ার হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিলেন কাকলি


মঙ্গলবার প্রথমে লেকটাউনে কয়েকজন পড়ুয়াকে এবং তার পর বারাসাত বিদ্যাসাগর হলে ৩৬ জন পড়ুয়ার হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি। তাঁর থেকে সাহায্য পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন পড়ুয়ারা। তাঁদের মধ্যে একজন সংবাদমাধ্যমে বলেন, "আমরা এত পরিশ্রম করলাম। তার বদলে পুরস্কার। খুব ভাল লাগছে।" (Barasat News)

গত বছরের ৫ ডিসেম্বর নিজের বেতনের টাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের মেধার স্বীকৃতির জন্য সংসদীয় এলাকার বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ-সহ ১৫টি কলেজ এবং একটি বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এই এমপি স্কলারশিপের সূচনা করেন কাকলি। তারই আওতায় মঙ্গলে আর্থিক সাহায্য় প্রদান করা হল পড়ুয়াদের। তাঁর বক্তব্য, "বিদ্যাদান মহৎ দান।"


আরও পড়ুন: Uttarpara Murder: মাথায় আঘাত, হাত কেটে খুন! বালকের নৃশংস মৃত্যুতে জড়িত মা?


কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের যে পড়ুয়াদের যাঁদের পরিবারিক আয় বার্ষিক ৬০ হাজার টাকা বা তার কম এবং প্রত্যেক সেমেস্টারে যাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৮০ শতাংশ, তাঁরাই এই স্কলারশিপ পাবেন বলে জানা গিয়েছে। মেধাবি ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নত ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে দিতেই এমন উদ্যোগ কাকলির। তাতে ভালই সাড়া পাওয়া গেল মঙ্গলবার।


মেধাবি ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নত ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে দিতেই এমন উদ্যোগ


আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবার থেকে আসা ছাত্রছাত্রীদের জন্য রাজ্য সরকারেরও পৃথক প্রকল্প রয়েছে, যার নাম 'যোগ্যশ্রী'। এর আওতায়, রাজ্যের পড়ুয়ারা নানা স্তরে রাজ্য সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সুবিধা পেয়ে থাকেন, যার মধ্যে রয়েছে স্কলারশিপও। তফসিলি জাতি এবং জনজাতি পড়ুয়াগের জয়েন্ট এন্ট্রান্স থেকে বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসতে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। পাশাপাশি, পড়ুয়াদের জন্য ল্যাপটপ, স্টুডেন্ট ক্রেডিক কার্ডের ব্যবস্থাও রয়েছে রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'যোগ্যশ্রী'-সহ একাধিক প্রকল্পের রূপায়ণ করেন। এবার তাঁর দলের সাংসদ কাকলি নিজের বেতন থেকেও অর্থসাহায্য করছেন পড়ুয়াদের।