সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, হুগলি:  হুগলির (Hooghly) উত্তরপাড়ায় (Uttarpara) বালকের নৃশংস খুনের ঘটনায় তার মা ও মা-এর বান্ধবী গ্রেফতার করল পুলিশ (Police)। ভারী মূর্তি দিয়ে বালকের মাথায় আঘাত ও পরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য বালকের হাতও কেটে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।     


১৬ ফ্রেব্রুয়ারি উত্তরপাড়ার আদর্শনগর ইংলিশরোড এলাকায় কুপিয়ে খুন করা হয় চতুর্থ শ্রণির ছাত্র স্নেহাংশু শর্মাকে। সেই ঘটনায় এবার বালকের মা শান্তা শর্মা ও তার বান্ধবী ইফফাত পারভিনকে গ্রেফতার করল উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের আগে থেকে বন্ধুত্ব ছিল শান্তা শর্মা ও ইফফাত পারভিনের। শান্তার বিয়ে হয় ২০১২ সালে। পারভিনের বিয়ে হয় ২০১৮ সালে। বিয়ের মাস খানেকের মধ্যে স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে আসেন পারভিন। এ প্রসঙ্গে শ্রীরামপুরের ডিসিপি জানান, দুজনের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব ছিল, দিনরাত কথা হত, দেখা হত।  


খুনের সময় ঘরে ছিল পোষ্য কুকুর। পুলিশ সূত্রে খবর,  আততায়ীকে দেখে পোষ্য কেন চিৎকার করেনি প্রথম থেকেই এই নিয়ে সন্দিহান ছিলেন তদন্তকারীরা। তাঁদের অনুমান ছিল খুনি পরিচিত কেউ হতে পারে। তদন্তের শুরু থেকে ফরেন্সিক তথ্য প্রমাণের ওপর জোর দিয়েছিল পুলিশ। 


আরও পড়ুন, শাঁখ, উলুতে সন্দেশখালিতে পা, 'কাঁদনি মা কাঁদনি' বৃদ্ধাকে বুকে টানলেন শুভেন্দু 


এরপর তদন্ত এগোতেই শান্তা ও পারভিনের যোগ পায় পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে শান্তা ও পারভিনের জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে। উত্তরপাড়া থেকে শান্তা ও খিদিরপুরের ওয়াটগঞ্জ থেকে পারভিনকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে, স্নেহাংশু শর্মার বাবা পঙ্কজ শর্মা বলেন, স্ত্রী এই ঘটনায় যু্ক্ত বিশ্বাস হচ্ছে না। 


এই ঘটনার পরই মৃত বালকের মা খুনের অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই মা এখন খুনের অভিযোগে ধৃত।                                                                                            


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে