কলকাতা: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে অদ্ভূত তত্ত্ব শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে। ব্য়ারাকপুর শ্যুটআউটে (Barrackpore Shootout) ঘটনাতেও তারই পুনরাবৃত্তি ঘটালেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ সৌগত রায় (Saugata Roy)। শ্যুটআউটের ঘটনায় যখন ব্যারাকপুরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, সেই সময় তাঁর দাবি, চাকরি-বাকরি চলে যাওয়া ছেলেরা খরচের সঙ্কুলান করতেই অপরাধ দিকে ধাবিত হচ্ছেন। 


পরপর বিস্ফোরণ নিয়ে অদ্ভুত তত্ত্ব দেওয়ার পর, ব্যারাকপুরে শ্যুটআউটকাণ্ডে নতুন তত্ত্ব দিলেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ তথা আশুতোষ কলেজের পদার্থবিদ্যার প্রাক্তন অধ্যাপক সৌগত রায়। তাঁর বক্তব্য, "মিল বন্ধ হলে অনেক লোকের কাজ চলে যায়। তখন সেই ইংয় ছেলেরা, তাদের তো খরচ-খরচা দরকার, তখন তারা কিছু ক্রাইমের দিকে ধাবিত হয়।


মঙ্গলবার, সন্ধেয় ব্যারাকপুর স্টেশনের অদূরে, জনবহুল এলাকা আনন্দপুরীতে সোনার দোকানে শ্যুটআউটে তরতাজা এক যুবকের প্রাণ চলে যাওয়ার পর, এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন খোদ স্থানীয় সাংসদ অর্জুন সিংহ। আনন্দপুরীর ঘটনায়, দু'জনকে গ্রেফতার করা হলেও, কী কারণে খুন, ডাকাতিতে বাধা পেয়ে খুন, নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, এখনও তা স্পষ্ট ভাবে বলতে পারছে না পুলিশ।


আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: 'দুদিন আগেই তো আমার বাড়ি আক্রমণের কথা বলছিলেন..', অভিষেক কনভয়ে হামলায় পাল্টা দিলীপ


সেই আবহেই ব্যারাকপুর শ্যুটআউটকাণ্ডে নতুন তত্ত্ব দিলেন সৌগত।  রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণে পর পর মৃত্যু নিয়ে এর আগে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য ছিল, "১০০ দিনের কাজ পাচ্ছেন না বলে বাজি কারখানায় কাজ নিচ্ছেন, এর দায় দায়িত্ব কখনও নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ এড়িয়ে যেতে পারেন না।"


তার পরই বিস্ফোরণের কারণ হিসাবে গরমকে দায়ী করেন সৌগত। তিনি বলেন, "গরমে এমনই বিস্ফোরণ হয়। পুলিশ অত গ্রামের মধ্যে, ৩৮ হাজার গ্রাম, কোথায় বাজি লুকিয়ে আছে, কে জানবে?" সেই তিনিই এবার ব্যারাকপুর শ্যুটআউট নিয়ে নয়া তত্ত্ব সামনে আনলেন। সৌগতর কথায়, "এখানে কর্মসংস্থান কমলেই কিছু ছেলে বের হয়ে আসবে এবং তারা কিছু অপরাধের দিকে যাবে। এই সব শিল্প এলাকায় জুয়া-সাট্টা চলে, পুলিশের খুব কড়া নজরদারি রাখতে হয়। অন্য জায়গায় এত ক্রাইম হচ্ছে না। ব্যারাকপুর সবথেকে কনজেস্টেড শিল্পাঞ্চল। "


এ নিয়ে সৌগতকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তাঁর বক্তব্য, "সৌগতবাবু তো ভুল কিছু বলছেন না! এটাই তো ঘটনা! দিদি বলে দিয়েছেন, 'আমি চাকরি দিতে পারব না, কাজ দিতে পারব না, কাজ চেওনা, মেরে খাও'। এটা তো অন্তত স্বীকার করলেন একজন এমপি সততার সঙ্গে যে বেকারত্বের জন্য় খুন খারাপি হিংসা লুঠ এই বাংলায় বাড়ছে!"