বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: সাত সকালে পাঁশকুড়ার মঙ্গলদারি এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে (TMC office gets fire) আগুন। আগুনে ভষ্মীভূত হয়ে যায় দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে থাকা সমস্ত আসবাবপত্র (furniture catches fire)। পুড়ে গিয়েছে বহু দরকারি নথি ও কাগজপত্রও (documents get destroyed)। টেবিল, চেয়ার, বেঞ্চ-সহ দুটি সিলিং ফ্যানও পুড়ে যায়। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দা ও বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। এর পর তমলুকের একটি ইঞ্জিনের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।



অতীতেও তোলপাড়...
গত নভেম্বরে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের মঞ্চে আগুন লেগে যায় যাতে এফআইআরে নাম ওঠে শুভেন্দু অধিকারীর। নন্দীগ্রাম থানায় তৃণমূল অভিযোগ করে। এফআইআরে প্রথমেই নাম ছিল শুভেন্দুর। তৃণমূলের অভিযোগের পরেই স্থানীয় বিজেপি নেতার বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ। সেবার বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদকের বাড়িতে যায় পুলিশ। সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই কেন মেঘনাদ পালের বাড়িতে তল্লাশি? প্রশ্ন করে পরিবার। এফআইআরের ভিত্তিতেই অভিযান, বলে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। যেই সময়ে এই ঘটনা, সেই সময়ে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য -রাজনীতি। অখিল ইস্যুতে রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে আক্রমণ করতে গিয়ে রাষ্ট্রপতিকেও নিশানা করেছিলেন মন্ত্রী অখিল গিরির। একটি ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'বলে দেখতে ভাল নয়। কী রূপসী! কী দেখতে ভাল! আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা?' এই মন্তব্যর পরই জোর শোরগোল শুরু হয়। অখিল গিরির মন্তব্য নিয়ে দিকে দিকে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু করে বিজেপি। অখিলের গ্রেফতারি ও মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণের দাবিতে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি চলে বিজেপির। কলকাতায় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে মিছিল। বেশ খানিকক্ষণ রাস্তা রোকো। নন্দীগ্রাম থানায় অখিলের বিরুদ্ধে এফআইআর। মন্ত্রীকে গ্রেফতারির দাবিতে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ। অন্যদিকে, কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরির বিরুদ্ধে জাতীয় মহিলা কমিশনে চিঠি দেন সৌমিত্র খাঁ। তার মধ্যেই তৃণমূলের মঞ্চে অগ্নিসংযোগের ঘটনা। 
কে করল এমন? দুর্ঘটনা নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে নেপথ্যে?


 


আরও পড়ুন:দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই বাংলায় নাড্ডা, মায়াপুর দর্শনের পর নদিয়ায় সভা