নয়াদিল্লি: ধর্না কর্মসূচির প্রথম দিনেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় (TMC Delhi Protests)। লাঠি হাতে তেড়ে যেতে দেখা যায় পুলিশকে। ধাক্কাধাক্কি, হুড়োহুড়িতে জিনিপত্র খোয়া যায়। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচি নিয়ে এই মুহূর্তে তপ্ত রাজধানী দিল্লি (TMC Delhi Chalo)। সেই আবহেই ধর্নার দ্বিতীয় দিনে, দিল্লির যন্তরমন্তরে কড়া নিরপত্তার ব্যবস্থা চোখে পড়ল।
১০০ দিনের কাজ, আবাস, সড়ক প্রকল্পের প্রাপ্য টাকা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কেন্দ্র আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ। সেই নিয়েই দেশের রাজধানীতে দু'দিনের ধর্না ও আন্দোলনের কর্মসূচি তৃণমূলের, যাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে যন্তরমন্তরে অবস্থান করছে তৃণমূল। সেখান থেকে সটান কৃষিভবন রওনা দেওয়ার কথা তাদের।
আর এই অবস্থানকে ঘিরেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে যন্তরমন্তরে। বিভিন্ন দিক থেকে সাতটি ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে দিল্লির পুলিশ এবং RAF. ফ্লেক্স টাঙিয়ে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি এবং তার নিরিখে সতর্কবার্তা দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। মেতায়েন করা হয়েছে হাজার দেড়েক পুলিশ। আকাশে ড্রোন উড়িয়েও চলছে নজরদারি। এতে যদিও বল পাচ্ছে তৃণমূল। তাদের দাবি, ভয় পেয়েই অমিত শাহের মন্ত্রক পুলিশকে দিয়ে এসব করাচ্ছে। তাই তাদের দিল্লি অভিযান সফল বলে মত জোড়াফুল শিবিরের নেতাদের।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: বিচারপতির নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন অভিষেক, কাল শুনানি
তৃণমূলের ধর্না-অবস্থান ঘিরে মঙ্গলেও সরগরম রাজধানী। আজ তৃণমূলের দিল্লি অভিযানের দ্বিতীয় দিন। দুপুরে যন্তর মন্তরে দলের নেতা-নেত্রী, কর্মী-সমর্থকেরা অবস্থান করছেন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিক্ষোভ-সমাবেশ চলার কথা। এর পর কৃষি ভবন অভিযান। সন্ধে ৬টায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্য়োতির সঙ্গে দেখা করবে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল।
এদিকে, তার আগেই ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, তাঁদের আপত্তি প্রকৃত জব কার্ড হোল্ডারদের নিয়ে নয়, বরং ভুয়ো জব কার্ড দেখিয়ে চুরি আটকানোই বঙ্গ বিজেপি-র লক্ষ্য।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও আক্রমণ করেছেন তৃণমূলকে। তাঁর বক্তব্য, "দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে, অভিযুক্ত সংসদের নেতৃত্বেই দিল্লি অভিযান তৃণমূলের। দুর্নীতি সামনে আসার পর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল রাজ্যকে। কিন্তু মমতা সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি। ব্যবস্থা না নিয়ে অভিযুক্ত সংসদকেই দিল্লি পাঠানো হয়েছে।" সরাসরি নাম না নিলেও, তাঁর নিশানায় অভিষেক বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।