কলকাতা: বিচারপতি পদে ইস্তফা দিয়ে আজই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। বাড়ি থেকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দলীয় দফতরে নিয়ে যান অগ্নিমিত্রা পাল, সজল ঘোষরা। বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েই বাংলা থেকে তৃণমূল সরকারকে (TMC Govt) উৎখাতের ডাক দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর এদিনই আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে পথে নামেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। 
 
ডোরিনা ক্রসিংয়ে মিছিল শেষে সভা করেন তিনি। এদিন মমতার নিশানায় ছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আজ রবি ঠাকুরের কথা নিয়েই বলি, বিচারের বাণী নিরবে-নিভৃতে কাঁদে। বিচারের চেয়ারে বসে বিজেপি বাবু বিজেপি পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন। এঁদের দিকে তাকিয়ে আদৌ কি মানুষ বিচার পাবেন? জুডিসিয়ারির ক্ষেত্রে আমি জাজ নিয়ে বলতে পারি না, কিন্তু আমি জাজমেন্ট নিয়ে বলতে পারি। আমিও আইনজীবী, ছিলাম। এখন নেই। আইনে কোনটা বেঠিক, কোনটা সঠিক আমরাও জানি।         


প্রসঙ্গ টানলেও নাম উল্লেখ করেননি মমতা। তৃণমূল নেত্রীর কথায়,  'এরা সব কেউকেটা, তবে আমি খুশি তাদের মুখোশটা খুলে পড়েছে। হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর চাকরি নিয়ে বড় নেতা হয়ে গেছিলেন। টিভিতে ইন্টারভিউ করছে, অভিষেকের নাম করে খারাপ কথা বলেছে। আপনি এখন কোথায় গেলেন? কাল থেকে আপনার রায় জনগণ দেবে। আপনি হাজার হাজার মানুষের চাকরি খেয়েছেন, কাল থেকে আপনার রায় দেবে জনগণ দেবেন। তৈরি থাকুন। আপনি যেখানে দাঁড়াবেন, আপনি স্টুডেন্টদেরই নিয়ে যাব। কারণ যাঁদের চাকরি আপনি খেয়েছেন, সেই স্টুডেন্টসরাই লড়াই করবে এবার। বলতে পারতেন এই প্যানেলটা ক্যান্সেল করুন, কোনও সুযোগ না দিয়ে ওয়ান সাইডেড গেম। এখনও পাঁচ লক্ষ চাকরি রেডি আছে বাংলার ছেলেমেয়েদের বিরুদ্ধে। কিন্তু বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস এসব দেখলেই জ্বলছে।' 


এদিকে এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আক্রমণ করে তৃণমূলকে নিশানা করে। তিনি বলেন, 'যে আমাদের প্রথম উদ্দেশ্য হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে একটা দুর্নীতিগ্রস্ত দলের এবং একটা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের বিদায়ের, বিদায় লগ্নের সূচনা করে দেওয়া এই লোকসভা ভোটে। যাতে ২০২৬-এ তারা আর ক্ষমতায় আসতে না পারে।' 


তৃণমূলকে বিঁধে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এও বলেন, 'একজন বাঙালি হিসেবে আমি অত্যন্ত কষ্ট পাই যখন দেখি যে বাংলা ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছে। আর পিছিয়ে পড়ছে। তাই আমি সর্বভারতীয় দলে যোগ দিয়েছি। যেখান থেকে এই দুর্নীতিগ্রস্ত দল এবং দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার এদের বিরুদ্ধে একটা ভয়ঙ্কর লড়াই শুরু করা যায়। এবং একটা সিরিয়াস লড়াই শুরু করা যায়।' 


আরও পড়ুন, ‘বঙ্গাল পর ইতনা গুসসা কিউঁ পিন্টুবাবু’? মমতার নিশানায় কে?