কলকাতা: রাজ্যের এক মন্ত্রী (CBI Raid In Firhad Hakims House), কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক-সহ (TMC MLA Madan Mitra) ১২টি জায়গায় যখন প্রায় একই সঙ্গে সিবিআই তল্লাশি (CBI Raid) চলছে, তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব তৃণমূল (TMC Post On CBI Raid)। এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূলের পোস্ট, 'ক্ষমতায় থাকা মানুষের থেকে মানুষের ক্ষমতা অনেক বেশি। আমরা কারও কাছে মাথা নত করব না।'


কী ঘটল?
রবিবার সকালে প্রথমে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। তার আধ ঘণ্টা পরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আরও একটি দল, কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়ি পৌঁছয়। ধীরে ধীরে খবর মেলে, একযোগে রাজ্যের ১২ জায়গায় অভিযান করছে সিবিআই। হাইকোর্টের নির্দেশে পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এই অভিযান করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগে, গত ৫ অক্টোবর পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তেই খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বা়ডিতে উনিশ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছিল আর এক  কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। এছাড়া আরও ৯ জনের বাড়ি এবং চারটি পুরসভাতেও ম্যারাথন তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় এজেন্সির অফিসাররা। তালিকায় ছিল কামারহাটি, দক্ষিণ দমদম, কাঁচরাপাড়া, মধ্যমগ্রাম পুরসভা। শুধু পুরসভাই নয়, প্রাক্তন চেয়ারম্যান থেকে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, আইএএস, পুরকর্মীর বাড়িতেও তল্লাশি চালান ইডির তদন্তকারীরা। কয়েক দিনের ব্যবধানে দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সির এমন তৎপরতায় বিজেপির 'অঙ্গুলিহেলন' দেখছে তৃণমূল। দলীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'হঠাতই দেখা যাচ্ছে বিজেপি দলটা যে ভাবে চাইছে, সে ভাবে কাজ করছে সিবিআই-ইডি। কিন্তু মনে রাখা দরকার, সরকার আসে, সরকার যায়...সিবিআই-ইডি তো দেশে থাকবেই। কিছু কিছু জায়গায় তাই ভেবে চিন্তে কাজ করা দরকার। ওঁরা সরকারি কর্মচারী।' একই সঙ্গে তিনি মনে করান, যেহেতু আদালতের নেতৃত্বে এই তদন্ত চলছে, তাই তাদেরও এই বিষয়টি নজরে রাখা দরকার। 


প্রেক্ষাপট...
১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা মেটানোর দাবিতে হালেই তৃণমূলের দিল্লি অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার বেধেছিল। তার পর কলকাতায় ফিরে রাজভবনের সামনে ধর্না শুরু করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন পরিস্থিতিতে ২ তৃণমূল হেভিওয়েট নেতার বাড়িতে একযোগে সিবিআই অভিযান শুরু হওয়ায় সুর চড়াচ্ছে জোড়াফুল শিবির। দলের এক্স হ্যান্ডেল থেকে পোস্টে নির্দিষ্ট করে কিছু না বলা হলেও কোন চাপের কাছে নতিস্বীকার না করার কথা বলা হচ্ছে, সেটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও বিজেপির পাল্টা দাবি, যদি প্রতিহিংসার রাজনীতিই হবে তা হলে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছিল কী ভাবে?


আরও পড়ুন:মাছের জালে আটকে বিশালাকৃতি অজগর, হইচই , কাঁকসার তেলিপাড়া এলাকায়