কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যসভা নির্বাচন এবছর। নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়ে গিয়েছে আগেই। এবার রাজ্যসভার প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল। শনিবার চার জনের নাম ঘোষণা করেছে জোড়াফুল শিবির, সাগরিকা ঘোষ, সুস্মিতা দেব, নাদিমুল হক এবং মমতাবালা ঠাকুরের, তাঁদের জয় নিশ্চিতই। রাজ্যসভার প্রার্থিতালিকা থেকে নাম বাদ গেল শুভাশিস চক্রবর্তী, আবিররঞ্জন বিশ্বাস এবং শান্তনু সেনের। (TMC Rajya Sabha Candidature)
রাজ্যসভা নির্বাচনে এবার তৃণমূলের নতুন মুখ সাংবাদিক সাগরিকা। এর আগেও তৃণমূল থেকে রাজ্যসভায় পাঠানো হয় সুস্মিতাকে। অন্য দিকে, ২০১৯ সাল পর্যন্ত লোকসভায় তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন ঠাকুরবাড়ির সদস্য মমতাবালা। তাঁকে এবার রাজ্যসভায় প্রার্থী করল তৃণমূল। মমতাবালাকে রাজ্যসভায় পাঠানোর নেপথ্য়ে মতুয়া ভোটের ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। (Rajya Sabha Elections 2024)
২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত লোকসভায় তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন প্রাক্তন মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র টিকিটে নির্বাচনে প্রার্থী হন ঠাকুর পরিবারেরই সদস্য শান্তনু ঠাকুর, যিনি মতুয়া মহাসঙ্ঘের বর্তমান সঙ্ঘাধিপতি। বনগাঁয় তাঁর কাছে পরাজিত হন মমতা। সেই থেকে রাজ্যে মতুয়া ভোট তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে ভাগ হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের জাহাজ প্রতিমন্ত্রীও শান্তনু। ঠাকুরবাড়িতে তাঁর প্রভাবও যথেষ্ট।
আরও পড়ুন: Asaduddin Owaisi: ‘ভগবান রামকে শ্রদ্ধা করি, নাথুরামকে নয়’, লোকসভায় বললেন ওয়েইসি
শান্তনুকে সামনে রেখেই এই মুহূর্তে বাংলায় বিজেপি মতুয়া ভোট ঝুলিতে ভরার চেষ্টা চালাচ্ছে। রাজ্যে শীঘ্রই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু হতে চলেছে বলে বিজেপি-র হয়ে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছেন শান্তনু, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও লোকসভা নির্বাচনের আগে CAA কার্যকর করার কথা জানিয়েছেন, যা মতুয়া সমর্থন টানতে গেরুয়া শিবিরের সহায়ক হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেই আবহে মমতাবালাকে রাজ্যসভায় পাঠানো তৃণমূলের রাজনৈতিক কৌশল বলে মনে করছে ওয়াকিবহালরা, যাতে মতুয়া ভোট ফের জোড়াফুলে ফেরানো যায়।
দেশের ১৫টি রাজ্যের ৫৬টি আসনে রাজ্যসভা নির্বাচন এ বছর। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভার নির্বাচন। বাংলার পাঁচটি আসনে নির্বাচন।