মুন্না অগ্রবাল, দক্ষিণ দিনাজপুর: দণ্ডি কেটে পাপের প্রায়শ্চিত্ত, বিজেপি যোগদানের (BJP) পাপ মুক্ত করতে দণ্ডি কেটে এসে তৃণমূলে যোগদান (TMC Join)। আর এমনই অভিনব যোগদান কর্মসূচি দেখল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা (South Dinajpur)।
'ভুল'
প্রসঙ্গত, এর আগে জল দিয়ে ধুয়ে, নেড়া হয়ে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে দেখা গিয়েছিল 'দলবদলুদের।' তবে এবার নয়া দৃশ্য। উল্লেখ্য যে গতকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের গোফানগর এলাকায় একটি যোগদান কর্মসূচি ছিল বিজেপির। যেখানে বিধায়ক বুধরাই টুডু জেলা বিজেপি সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। বিজেপির দাবি প্রায় দুইশ জন মহিলা যোগদান করে এই যোগদান কর্মসূচিতে। আর সেই মহিলাদের মধ্যেই চারজন মহিলা নিজেদের 'ভুল বুঝতে পেরে' দণ্ডি কেটে এসে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে আবার তৃণমূলের যোগদান করলেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ্ত চক্রবর্তীর হাত ধরে এই যোগদান কর্মসূচি চলে।
'দণ্ডি কেটে এসে তৃণমূলে যোগদান'
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রদিপ্তা চক্রবর্তীর দাবি, '২০০ জন নয় তার থেকে অনেক কম সংখ্যক মহিলা গতকাল যোগদান করেছে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগ মহিলাই ভুল বুঝতে পেরে আবার তৃণমূলে ফিরতে চাইছে। এদের মধ্যে চারজন মহিলা গতকাল রাতে বিবেকের দংশনে ঘুমোতে না পেরে দণ্ডি কেটে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করলেন। আগামী দিনে বাকি মহিলারাও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করবেন। রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে তাঁদের আবার দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে', বলে জেলা মহিলা তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন।
'বিবেকের দংশনে সারারাত ঘুমোতে পারিনি'
তৃণমূলে যোগদান করা এক মহিলা জানান,' পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের জন্য কন্যাশ্রী,রূপশ্রী,লক্ষ্মীর ভান্ডারসহ অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন বিজেপি ভুল বুঝিয়ে নিয়ে গিয়ে আমাদের যোগদান করবার পর বিবেকের দংশনে সারারাত ঘুমোতে পারিনি। তাই আজ দণ্ডি কেটে নিজের পাপ মোচনের মাধ্যমে আবার তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করলাম।'
'প্রলোভন দ্বারা তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে': বিজেপি
তবে এই বিষয়ে বিজেপি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, জেলা থেকে প্রচুর তৃণমূল কর্মী এবং নেতা বিজেপিতে যোগদান করার আবেদন করছে। তবুও তারা বেছে যোগদান করাচ্ছেন গতকালও প্রায় ২০০ জন যোগদান করেছে তাদের মধ্যে তিন চার জনকে জোরপূর্বক অথবা প্রলোভন দ্বারা তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে, বলে মনে করছেন বিজেপি জেলা নেতৃত্ব।