কলকাতা: তাঁকে চিরকাল মানুষ দেখেছেন অন্য ধাঁচের চরিত্রে। তবে সেই সমস্ত চরিত্র এক ধাঁচের নয়। বারে বারে তিনি নিজেকে ভেঙেছেন, গড়েছেন, ভালবেসেছেন। অভিনয়কে ভালবেসেই তিনি লম্বা সফর করেছেন টলিউডে। তবে সময় তাঁকে আরও সুন্দর করেছে, পরিণতও। কেবল অভিনয় নয়, পর্দা পরিচয় পেয়েছে তাঁর গায়িকাসত্ত্বারও। নতুন ছবি 'শেষ পাতা' (Sesh Pata) নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এবিপি লাইভে (ABP Live) নিয়ে অভিনয় নিয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গির কথা বললেন গার্গী রায়চৌধুরী (Gargee Roychowdhury)। 


ছবির ভাষা বদলেছে, ধারা বদলেছে। টলিউডকে পরিণত হতে দেখেছেন গার্গী। বড়পর্দার চরিত্ররা কী সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি বাস্তবচিত হচ্ছে? গার্গী বলছেন, 'শুধু তুমি' ছবিতে অভিনয় করেছিলাম। কিন্তু তারপরে আর কমার্শিয়াল ছবিতে অভিনয় না করা আমার খুব সচেতন সিদ্ধান্ত ছিল। আমি বরাবরই এমন কিছু মেয়েদের চরিত্র করতে চেয়েছি, যেটা আমায় তৃপ্তি দেবে। টেলিফিল্মে তখন থেকেই বাস্তবচিত চরিত্রের চল চলে আসছে। এত বছর বাদে সেই ধারাটা পর্দায় এসেছে। মানুষ নিজের সঙ্গে মেলাতে পারবেন, নায়ক নায়িকার মধ্যে নিজেকে খুঁজে পাবেন, সেটাই এখনকার ছবির দস্তুর। করোনা পরিস্থিতির পরে আরও বেশি করে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জনপ্রিয় হয়েছে। ছবিতে যে সমস্ত অভিনেতা অভিনেত্রীরা তেমন সুযোগ পাননি, তাঁরা ওটিটির হাত ধরে একেবারে মানুষের ঘরে ঢুকে পড়ছেন। মনোজ বাজপেয়ীর ছবির চেয়ে অনেক বেশে আমাদের মনে থেকে যায় 'ফ্যামিলি ম্যান'। মানুষ ওটিটিতে নিজের অভিনয় সত্ত্বাটাকে প্রকাশ করতে পারছেন। যে কোনও অভিনেতা অভিনেত্রীদের পক্ষে এটা খুব ভাল সময়।'


ওটিটিতে নিজেকে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার ইচ্ছা রয়েছে গার্গীর? অভিনেত্রী বলছেন, 'আমি বছরে ৩-৪টে ছবি করি না। আমার অত সাহস নেই। আমি ২টো করে ছবি করি, ইচ্ছে আছে সেটাই করে যাব। এই বছরে আমার ৩টে ছবি মুক্তি পেয়েছে। প্রত্যেকটা চরিত্র একে অন্যের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। 'রামধনু' -তে একেবারে মধ্যবিত্ত একজন গৃহবধূ, তারপরেই 'হেমন্ত'-তে ভীষণ ব্যক্তিত্বশালী একটা চরিত্র। তারপর 'বিটনুন', 'শ্রাবণের ধারা', 'হামি ২', 'মুখোমুখি'... প্রত্য়েকটা চরিত্রর জন্যই নিজেকে ভেঙেছি। একধরণের অভিনয় আমি করতে পারি না। 'রামধনু'-র পরে আমার কাছে ৫-৬টা এক ধাঁচের চরিত্রের অফার এসেছিল। ঈশ্বরের আশীর্বাদে আমায় তা করতে হয়নি। ২০১২ সালে ছোটপর্দা ছেড়েছি, সেখানেও ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র করতাম। বড়পর্দাতেও তাই। ঠিক যেমন 'শেষ পাতা' আমার ভীষণ ভীষণ মনের কাছের একটা ছবি।'