বিষ্ণুপুর : "দুষ্ট গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভাল। অন্য় দলে থাক আর হারো, ওটাই ভবিষ্যৎ। কালসাপ দেখব, সাপুড়ে ডাকব, আর বিষ দাঁত ভাঙব।" দলবদলুদের উদ্দেশে এই বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের দলের বিজয়া সম্মিলনীতে এই মন্তব্য করেন সায়ন্তিকা।
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। লড়াইয়ে অবশ্য জিততে পারেননি তিনি। তাঁকে ১৪৬৮ ভোটে পরাস্ত করেন বিজেপির নীলাদ্রি শেখর দানা। যদিও রাজনীতির ময়দান ছেড়ে যাননি টলিউডের অন্যতম এই অভিনেত্রী। বরঞ্চ, জলমগ্ন বাঁকুড়ায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ছুটে গেছেন সেখানে।
গত মাসে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বাঁকুড়া শহর। গন্ধেশ্বরী নদীর জল দখল নেয় বাইপাস রোডের। দ্বারকেশ্বর নদের জল ঢুকে শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। ফলে শহরের বেশ কিছু ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়েছিল। সেই সময় হাঁটু সমান জল পেরিয়ে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহম্মদ নগর, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের মল্লেশ্বর পল্লি এলাকায় গিয়ে দুর্গত মানুষদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাজ্য তৃণমূলের সম্পাদক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
সায়ন্তিকা সেই সময় বলেছিলেন, বাঁকুড়ার প্রচুর জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাই জায়গাগুলি একটু ঘুরে দেখছি। দিদি সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। সেভাবেই আমরা কাজ করি। মানুষের পাশে থাকার এটাই আসল সময়। বাঁকুড়ায় এত ক্ষতি হয়েছে। এই সময় আমার দায়িত্ব এটা দেখার যে, কীভাবে কী করলে মানুষ রিলিফ পান। এখানে আমাদের যাঁরা নেতৃত্বে রয়েছেন, তাঁরা মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। আমি মানুষের পাশে থাকব।
যদিও তাঁর সেই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা বলেছিলেন, পরিদর্শন যে কেউ করতেই পারেন। তবে, সময়ে করলে ভাল হয়। সব কিছু শেষ হয়ে গেছে, মাথার ওপর রোদ, এখন ঘুরতে এসে কী হবে ? যখন দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে, সেই সময় ঝাঁপ মারতে হবে। তাপ সহ্য করে বেরিয়ে আসতে হবে...তবেই সেটা সমাজসেবা। টিভিতে মুখ দেখাতে এখন অনেকেই আসবেন।