সন্দীপ সরকার, কলকাতা: সিনেমা হল ভাঙা নিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ উঠল লেকটাউনে। এক ঠিকাদারের অভিযোগ, মন্ত্রী সুজিত বসুর আপ্ত সহায়ক বিপুল অঙ্কের টাকা চান। বিহিত চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও কলকতার মেয়রকে চিঠি দিয়েছেন ওই ঠিকাদার। সুজিত বসুর পাল্টা অভিযোগ, নেপথ্যে ষড়যন্ত্র আছে।


লেকটাউনে সিনেমা হল ভাঙা নিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ। মন্ত্রী সুজিত বসুর আপ্ত সহায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন এক ঠিকাদার। এই নিয়ে পাল্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন দমকলমন্ত্রী। মাস তিনেক আগে লেকটাউনের জয়া ও মিনি জয়া সিনেমা হল ভাঙার বরাত পান পাতিপুকুরের বাসিন্দা আনন্দ পোদ্দার। ঠিকাদারের অভিযোগ, গত ২৫ জানুয়ারি কয়েক জন দুষ্কৃতী এসে কাজ বন্ধ করে দেয়।


কাজ শুরুর বিষয়ে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্তর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলতে বলা হয়। যিনি মন্ত্রী সুজিত বসুর আপ্ত সহায়ক। ঠিকাদারের দাবি, তৃণমূল নেতা নিতাই দত্ত ২১ লক্ষ টাকা চান। বরাত পাওয়া সত্ত্বেও কাজ করতে না পারায়, মুখ্যমন্ত্রী, পুরমন্ত্রী ও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নালিশ জানিয়েছেন ঠিকাদার। 


গোটা পরিবার আতঙ্কে  রয়েছে।  অভিযোগকারী ঠিকাদারের স্ত্রী, হুমকি দিচ্ছে, আতঙ্কে আছি। ঠিকাদারের চাঞ্চল্যকর দাবি, তিনি সব্যসাচী দত্তের অনুগামী বলেই হেনস্থার শিকার হয়েছেন। অভিযোগকারী ঠিকাদার  আনন্দ পোদ্দার বলেন, "আমি বরাবর তৃণমূল করি। সব্যসাচীদার সঙ্গে থাকি। আমি বিজেপিতে যাইনি।" 


এবিষয়ে দক্ষিণ দমদমের ভাইস চেয়ারম্যানকে একাধিক ফোন করা হলেও, তিনি ধরেননি। মন্ত্রী ও তৃণমূল বিধায়ক সুজিত বসু বলেন, "আনন্দ পোদ্দারকে চিনি। বিধানসভা ভোটের সময় আমাদের ছেলেদের উপর অত্যাচার করেছে। এখন আমাদের দলে ফিরতে চাইছে। ফেরাব না বলেছি। গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে, কে করছে তাও জানি।" 


তোলাবাজি বিতর্কে জয়া সিনেমা হলের মালিক জানিয়েছেন, ঠিকাদারের সঙ্গে কার কী ঝামেলা হয়েছে তা তিনি জানেন না। কাজ বন্ধ আছে। তাঁর থেকে কেউ টাকা চাননি। ওই ঠিকাদার আগাম হিসেবে যে অর্থ দিয়েছিলেন, তা তিনি ফেরত দিয়ে দিয়েছেন।