আশাবুল হোসেন, বিটন চক্রবর্তী ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়: ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ তদন্তকারী সংস্থা। এজেন্সির সরকার বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি-কে। এর পাল্টা বিজেপি-র বক্তব্য, "চৌকিদার আছে, চুরি করলে জেলে যাবে।" অন্য দিকে, সিপিএম-এর দাবি,  বহাল তবিয়তে থাকার জন্য বিজেপি-র সঙ্গে সমঝোতা করে চলছে তৃণমূল। (Mamata Banerjee)


লোকসভা নির্বাচনের আগে, ক্যাগের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে বিজেপি যখন তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে মরিয়া, সেই সময় তখন কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের পাল্টা অভিযোগ তুলে ধর্নামঞ্চ থেকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা। তাঁর বক্তব্য, "ওদের নেতারা সরাসরি গ্রেফতার করতে বলে। আমাকে চিঠি দিয়েছে। ২০০৩ সাল থেকে তোমরা রিপোর্ট দাওনি। তখন আমাদের জন্মই হয়নি। জানি না, কী করে এসব করে।" (Kolkata News)


বিজেপি-র বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্বার্থে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করার অভিযোগ আগেও উঠেছে। মমতাও একই দাবি করেন। তাঁর কথায়, "ওদের (বিজেপি) একটাই ক্ষমতা। গভর্নমেন্ট অফ দ্য এজেন্সি, বাই দ্য এজেন্সি অ্যান্ড ফর দ্য এজেন্সি। ওদের সাপোর্ট নিয়েই নির্বাচনে জেতে।"


আরও পড়ুন: Madhyamik 2024: মাধ্যমিকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই কর্তব্য পালন শিক্ষিকার, গার্ড দিতে এসে আচমকাই প্রসব যন্ত্রণা..


জমি দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে পাঁচবার নোটিস পাঠিয়েছে ইডি। সেই প্রসঙ্গ তুলেও বিজেপি-কে  আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, "হেমন্ত একজন উপজাতি নেতা। সেই হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করেছে। অরবিন্দের পিছনে লেগে রয়েছে। কখন কার পিছনে লাগবে, ঠিক নেই।"


তবে মমতার অভিযোগ কানে তুলতে নারাজ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, "ওসব ড্রামা করে লাভ হবে না। ক্যাগ রিপোর্টে প্রমাণিত যে ২ লক্ষ কোটি টাকা চুরি করেছেন মমতা। ওখানে কেউ যাচ্ছেন না। মশামাছি তাড়াচ্ছেন। আর সকালে পুলিশকে নিয়ে মর্নিংওয়াক করছেন। ওটা পুলিশের ধর্না হচ্ছে।" বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, "চৌকিদার আছে। চুরি করলে জেলে যাবে।হীরক রানি যেভাবে রাজ্য চালাচ্ছেন, তাতে আগামী দিনে ওঁকে চম্পই বন্দ্যোপাধ্যায় খুঁজতে হবে না, এমন কোনও কথা নেই। তৃণমূল বাই দ্য চোর, ফর দ্য চোর।"


যদিও তৃণমূল এবং বিজেপি, দুই দলকেই কটাক্ষ করেছে সিপিএম। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, "সিবিআই-ইডি-কে যাঁরা পরিচালনা করেন, তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন, যাঁরা বিজেপি-র বিরোধী, তাঁদের বিরুদ্ধে বিজেপি সিবিআই, ইডি লাগাবে। যাঁরা প্রকারান্তরে বিজেপি-কে সাহায্য করেন, তাঁদের সিবিআই, ইডি অসুবিধায় ফেলবে না। পিসি-ভাইপো যাতে বহাল তবিতে থাকতে পারেম, তাই বিজেপি-র সঙ্গে রপা করে চলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাঝে মধ্যে একটু গরম কথা বলছেন।"