সন্দেশখালি : সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাওয়া কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি সেখানে ঢুকতে ব্যর্থ হয়। গতকালই প্রথমে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম ও পরে কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলকে রামপুরে আটকে দেওয়া হয়। ১৪৪ ধারার কারণ দেখিয়ে তাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই আবহে এবার ৩ মার্চ সন্দেশখালিতে জনসভা করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। উপস্থিত থাকবেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, পার্থ ভৌমিক, ব্রাত্য বসু, তাপস রায়, নির্মল ঘোষ-রা। ১ লক্ষ মানুষের জমায়েতের টার্গেট নিয়েছে শাসক দল। সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে কাল সন্দেশখালি যাচ্ছেন ব্রাত্য বসু, পার্থ ভৌমিক, সুজিত বসু-রা।
সভা প্রসঙ্গে সুজিত বসু বলেন, "যেখানে ১৪৪ ধারা নেই সেখানে যাব। ওখানে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে, কর্মীদের সঙ্গে কথা বলব। বিরোধীরা বিচ্ছিন্ন। সন্দেশখালিতে নির্বাচনের সময় বিরোধীদের তেমনভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ওখানে একটা সমস্যা হয়েছে। এটা আমরাও বুঝতে পারছি। মানুষ যখন বলছে। বিরোধীরা এটাকে মেটাতে চাইছে না। আমরা চাইছি মেটাতে। সরকার চাইছে মেটাতে। সরকার চায়, কেউ অন্যায় করে থাকলে স্টেপ নিতে। সেটা নিচ্ছেও।"
সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর বক্তব্য, "৩ তারিখে একটা বড় সভা করে সন্দেশখালি অঞ্চলের মানুষের কাছে আমরা সঠিকটা কী সেটা প্রকাশ করব। আগামীকাল সন্দেশখালি থেকে এক-দেড় হাজার মানুষকে নিয়ে পার্থ ভৌমিক, ব্রাত্য বসু ও সুজিত বসুরা আসবেন। সন্দেশখালির বিপরীত দিকে ন্যাজাট থানা এলাকার শেয়ারাবাজারের কাছে। সেখানে সন্দেশখালির মানুষের কী বক্তব্য আছে, কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে তা জানার চেষ্টা করা হবে। সভার মতোই হবে। সাধারণ মানুষের কথা শোনা হবে। কর্মীরা থাকবেন।"
এদিকে এই জনসভার অনুমতি না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে এসএফআই। বারাসাতের ডিএম অফিসে স্মারকলিপি পেশ করে তারা। এ প্রসঙ্গে এসএফআইয়ের উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক আকাশ কর বলেন, "রাজ্যের এক জন মন্ত্রী ওখানে গিয়ে ঘোষণা করলেন ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিতে তাঁরা জনসভা করবেন। কোন রাজনৈতিক দল সেটা এসএফআই বা ছাত্রদের কাছে বিষয় নয়। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, গতকাল থেকে উচ্চ মাধ্য়মিক শুরু হলে কোন আইনে এটা তিনি করতে পারেন ? কোন আইনে এই সমাবেশের কথা তাঁরা ভাবতে পারেন ? আমার বিশ্বাস, প্রশাসন এই অনুমতি দেবে না।"