অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা নিয়ে টানটান নাটক। পুরসভার দখল নিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূলের দ্বন্দ্ব দেখেছিল রাজ্য। কংগ্রেস কাউন্সিলর খুন থেকে শুরু করে টানটান টানাপড়েন চলেছে ঝালদা নিয়ে। পুরসভা কার হাতে থাকবে তা নিয়ে আদালতেও চলেছে লড়াই। শেষ পর্যন্ত আদালতের রায়ের পর কংগ্রেসের হাতেই গিয়েছে পুরসভার রাশ। পঞ্চায়েত ভোটের পর ফের সামনে এল টানাপড়েন। ফের ঘুরপথে ঝালদা পুরসভা দখলের চেষ্টা করছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলল কংগ্রেস।
পুরপ্রধান ও নির্দল কাউন্সিলরকে দলে টানার চেষ্টা করছে তৃণমূল, দাবি কংগ্রেসের। কলকাতায় নিয়ে এসে রাখা হয়েছিল সল্টলেক স্টেডিয়ামের যুব আবাসে, দাবি কংগ্রেসের। পুরুলিয়ার কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতোর দাবি, 'চেয়ারপার্সন-সহ ২ নির্দল কাউন্সিলরকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করেছিল তৃণমূল।' যদিও সেই অভিযোগ মানতে চাননিঝালদা পুরসভার নির্দল কাউন্সিলর রঞ্জন কর্মকার। তিনি বলেন, 'তৃণমূলের কেউ যোগাযোগ করেনি আমার সঙ্গে, ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে।'
যুব আবাসের ১০৯ এবং ১১০ নম্বর রুমে চেয়ারম্যান এবং নির্দল কাউন্সিলরকে রাখা হয়েছে বলে খবর। গতকাল রাতেই তাঁরা পা রেখেছেন কলকাতায়। কেন তাঁরা কলকাতায় এসেছেন, তা জানার জন্য় ওই দুজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি এবং নেপাল মাহাতো। কংগ্রেসের দাবি, ৩ জনকে নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায়। তার মধ্যে এই দুজনের খোঁজ পেয়েছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের দাবি, ওই দুজনকে চাপ দিয়ে তৃণমূলে যোগদান করিয়ে বোর্ড দখলের চেষ্টা করছে তৃণমূল।
ঝালদা ভোটের পর কংগ্রেসের ছিল ৫ জন কাউন্সিলর এবং তৃণমূলের ছিল ৫ জন কাউন্সিলর। এছাড়া, রয়েছেন কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় এবং রঞ্জন কর্মকার। এই পুরসভা অনেক ডামডোলের পরে শীলা চট্টোপাধ্য়ায়কে চেয়ারপার্সন করে বোর্ড গঠন করে কংগ্রেস। তারপরে সেখানকার মহকুমাশাসক শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ করে সরিয়ে দেয়। তারপরে তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুকে চেয়ারপার্সন হিসেবে বসানো হয়। তারপর কলকাতা হাইকোর্ট রায় দেয় শীলা চট্টোপাধ্য়ায়ের কাউন্সিলর পদ বজায় থাকবে এবং তিনিই ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সন থাকবেন পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত।
তৃণমূলের দাবি:
গোটা অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'নির্দল কাউন্সিলররাই তো বলছেন, কেউ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।' তাঁর পাল্টা অভিযোগ, নির্দল কাউন্সিলরদের দখলে রাখার চেষ্টা করছে কংগ্রেসই।
আরও পড়ুন: 'বার বার আসি আমরা দুজন, বার বার ফিরে যাই...', স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়েই মৃত্যু স্বামীরও