কলকাতা: NSG-কে নিয়ে সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। সেই নিয়ে CBI-এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ তৃণমূলের। অনৈতিক ভাবে সন্দেশখালির ফাঁকা জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের দাবি, তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই নির্বাচনের দিন CBI-এর এই তল্লাশি। ভোটের মধ্যে এই ধরনের অভিযান ভোটারদের মনে প্রভাব ফেলতে পারে। (Sandeshkhali Case)


শনিবার CBI-এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে লেখা তৃণমূলের চিঠি সামনে এল। চিঠিতে বলা হয়, 'আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ রাজ্যের দায়িত্ব, অথচ তল্লাশির বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। সত্যিই অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে নাকি সিবিআই বা NSG নিজেরাই রেখেছে, তাও স্পষ্ট নয়। প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতারা সন্দেশখালি ইস্যুতে প্রতিদিন তৃণমূলকে নিশানা করছেন। আরও একবার প্রমাণিত হল, CBI-কে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকার অনৈতিক ভাবে ব্যবহার করছে'। (TMC complaints to ECI)


নির্বাচন চলাকালীন কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা যেন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে না পারে, কমিশনের কাছে সেই মর্মে আবেদন জানিয়ে চিঠি দিল জোড়াফুল শিবির। শুধু তাই নয়, CBI তল্লাশি নিয়ে রাজ্যকে কিছু না জানালেও, আগেভাগে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছিল বলে দাবি করেছে শাসকদল। 



আরও পড়ুন: Sandeshkhali Live Updates: শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠের আত্মীয়ের বাড়িতে মিলল বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রও


সন্দেশখালি থেকে অস্ত্র উদ্ধারে একাধিক তত্ত্ব উঠে আসছে। অস্ত্রশস্ত্র সব মার্কিন মুলুক থেকে এসেছিল কি না, এর নেপথ্যে আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাচালান চক্র রয়েছে কি না, তৃণমূল নেতার আত্মীয়ের বাড়ির মেঝের নীচে অস্ত্রভাণ্ডার মেলার পর এমনটা সন্দেহ করছে CBI-ও। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে তিনটি বিদেশি রিভলবার রয়েছে, যেগুলি মার্কিন মুলুকে তৈরি এবং এই সব আগ্নেয়াস্ত্র রীতিমতো নিলাম ডেকে চড়া দামে বিক্রি করা হয়। কী কারণে এই অত্যাধুনিক অস্ত্র সন্দেশখালিতে মজুত করা হয়েছিল? অস্ত্র কেনার টাকাই বা এসেছিল কোথা থেকে? সেটাই এখন ভাবাচ্ছে CBI-কে।


কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, একেকটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রের দাম ৭-৮ লক্ষ টাকা। বাকিগুলির দাম ৩-৪ লক্ষ টাকা, সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার অস্ত্র গতকাল উদ্ধার হয়েছে। কোথা থেকে কেনা হয়েছিল এই অস্ত্র? তবে কি অস্ত্র চোরাচালানেও যুক্ত ছিল শেখ শাহজাহান? ৫ জানুয়ারি, ED-র উপর হামলার পরেই কি এই অস্ত্রগুলি লুকিয়ে ফেলা হয়েছিল? খতিয়ে দেখছে সিবিআই।  কিন্তু এই তল্লাশি অভিয়ানের উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল।