সন্দীপ সরকার ও ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: মুখ, হাত, গোড়ালি, হাঁটুতে ফোসকা৷ দেখে চিকেন পক্স (Chicken Pox) মনে হলেও এটাই কিন্তু হ্যান্ড-ফুট-মাউথ ডিজিজের উপসর্গ। এই রোগের শিকার হয় মূলত ছোটরাই (Children)। পাশাপাশি ভয় ধরাচ্ছে সোয়াইন ফ্লু এবং ‘টম্যাটো ফ্লু (Tomato Flu)। উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
আতঙ্কের ডেঙ্গি, উদ্বেগের ম্যালেরিয়া, এরই মধ্যে এবার মাথাচাড়া দিচ্ছে সোয়াইন ফ্লু, টম্যাটো ফ্লু থেকে হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ। সূত্রের খবর, রাজ্যে শিশুদের মধ্যে বাড়ছে টম্যাটো ফ্লু ও হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা।
কী এই টম্যাটো ফ্লু?
চিকিত্সকরা বলছেন, এটি একটি ভাইরাল রোগ। হাতের তালু ও পায়ের পাতায় ফোসকা দেখা যায়। লাল রঙের ফোসকাগুলি দেখতে টম্যাটোর মতো, তাই নাম টম্যাটো ফ্লু। এই রোগের উপসর্গ হল - জ্বর, সর্দি-কাশি, নাক দিয়ে জল পড়া, বমিভাব, পেটে ব্যথা, ডায়েরিয়া। এছাড়াও, গলা, মুখ ও জিভে ঘা হয়, জ্বালাভাব থাকে। খেতে সমস্যা হয়। উপসর্গ থাকে ৩ থেকে ৫ দিন। রোগটি খুবই ছোঁয়াচে।
কী বলছেন চিকিৎসকরা?
চিকিৎসকরা বলছেন, মূলত ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায় বাচ্চাদের স্কুলে না পাঠানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জয়দেব রায় বলেন, "স্কুলে না পাঠানোই ভাল, অনেকে পক্স ভেবে ভয় পাচ্ছেন, কিন্তু পক্স নয়। বাচ্চাদের বেশি হয়। তবে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন খুব কম ক্ষেত্রেই পড়ে।"
আরও পড়ুন, বর্ষায় বাড়ছে মশার আতঙ্ক, চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া! কী করবেন, কী করবেন না?
এদিকে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সোয়াইন ফ্লুও। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে সোয়াইন ফ্লু আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ পেরিয়েছে। উডল্যান্ডস হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁদের কাছে চিকিত্সার জন্য এসেছেন সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত ২৩ জন। এঁদের মধ্যে এখনও ৮ জন হাসপাতালে ভর্তি। ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালে ভর্তি ২০ জন। পিয়ারলেস হাসপাতালে সংখ্যাটা ২০-গণ্ডি ছাড়িয়েছে।
চিকিত্সকরা বলছেন, হাসপাতালে চিকিত্সাধীন সোয়াইন ফ্লু আক্রান্তদের অনেকেই করোনা পজিটিভও! বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, উপসর্গ দেখা দিলেই যেতে হবে চিকিত্সকে কাছে। নাহলে বাড়তে পারে বিপদ।