রাজীব চৌধুরী ও প্রদ্যোৎ সরকার, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) নদিয়ার (nadia) তৃণমূল নেতা খুনে (murder) এক সপ্তাহে এই নিয়ে মোট ৪ জনকে গ্রেফতার (arrest) করল পুলিশ। গত ২৪ নভেম্বর ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নওদায় খুন হন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ও নদিয়ার তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম।
নতুন যা ঘটল...
মুর্শিদাবাদে, নদিয়ার তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে নওদা থানার পুলিশ। ফলে, সব মিলিয়ে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪। গত ২৪ নভেম্বর মুর্শিদাবাদের নওদাতেই গুলি-বোমা মেরে খুন করা হয় নদিয়ার নারায়ণপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী, তৃণমূল নেতা, মতিরুলকে। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এই ঘটনায় তেতে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে CBI তদন্তের দাবি জানান নিহতের স্ত্রী।
সেই ঘটনায় শনিবার নদিয়ার থানারপাড়া এলাকা থেকে আসান শেখ ও মুরুটিয়া থানা এলাকা থেকে কিতাব মণ্ডল নামে ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আগে যা...
এই ঘটনায় শুক্রবারও ডোমকল থেকে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। নাম এলেম বক্স। ওই অভিযুক্তকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বহরমপুর আদালত। তবে এই ঘটনা নিয়ে এখনও চাপানউতোর চলছেই। প্রসঙ্গত, খুনের ঘটনায় প্রথমেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠেছিল। দেহরক্ষীর সামনেই নদিয়ার ওই নেতাকে খুন করা হয়েছিল বলে শোনা যায়। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, দলের নেতার বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ ওঠে। প্রাথমিক ভাবে শোনা যায়, ইটভাটার বখরা নিয়ে বিবাদে খুন করা হয় মতিরুল ইসলামকে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্প করে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মতিরুল। দেহরক্ষীর সামনেই বোমা-গুলি চলে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে, নওদা থেকে করিমপুরে ফেরার সময় রাস্তা আটকানো হয়েছিল মতিরুলের। তার পরই গুলি, বোমা চলে। আঙুল ওঠে নওদার ব্লক তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ। মিথ্যে অভিযোগ, পাল্টা দাবি ছিল নওদার ব্লক তৃণমূল সভাপতির। এমনকি শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআরও করেছিল নিহতের পরিবার। যাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিক ও নওদার তৃণমূল ব্লক সভাপতি সফিউজাম্মান শেখ। তবে হঠাৎ এই হামলার আসল কারণ কী, সেটা তদন্ত এগোলেই স্পষ্ট হবে।