Continues below advertisement

নদিয়া : SIR নিয়ে মতুয়াদের আশঙ্কার মধ্যেই আজ নদিয়ায় প্রধানমন্ত্রী। শনিবার ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর সভা।  SIR আবহে মতুয়া গড়ে মোদির সভা ঘিরে চড়ছে কৌতূহলের পারদ। সকাল থেকে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ। এরই মধ্যে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মুর্শিদাবাদ থেকে মোদির সভায় যোগ দিতে আসা তিন জনের মৃত্যু হল ট্রেনের ধাক্কায়। ঘটনাটি ঘটেছে  কৃষ্ণনগর - রানাঘাট শাখার তাহেরপুর থেকে বাদকুল্লা স্টেশনের মাঝামাঝি ঘটনা। 

সূত্রের খবর, ঘটনাস্থলেই তিন জনের মৃত্যু হয়।  একজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সূত্রে খবর, এঁদের বাড়ি ছিল মুর্শিদাবাদ জেলায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভায় যোগ দিতে এসেছিলেন তাঁরা। ভোরবেলা রেললাইনের ধারে প্রাতঃকৃত্য করার সময় দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা, ঘন কুয়াশা থাকায় দৃশ্যমানতা আজ কমই ছিল। তাই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল। ডিসেম্বরের ২০ তারিখ। কনকনে শীতের দেখা না-মিললেও গভীর কুয়াশা রয়েছে নদিয়ায়।  কলকাতায় শীতের আমেজও তেমন নেই । তবে সকাল সকাল কলকাতা ও বিভিন্ন জেলায় কুয়াশা যথেষ্ট । তাই দৃশ্যমানতা যথেষ্ট কম। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। 

Continues below advertisement

এদিকে দুর্ঘটনায় মৃত বিজেপি সমর্থকদের বাড়িতে গেল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। মৃতরা হলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার মসড্ডা গ্রামের বাসিন্দা গোপীনাথ বৈরাগ্য ও  সাবলদহ গ্রামের মুক্তিপদ সূত্রধর ও রামপ্রসাদ ঘোষ। জানা গিয়েছে, শনিবার অভিষেক  বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মসড্ডা গ্রামের গোপীনাথ বৈরাগ্যের বাড়িতে যান বড়ঞা উত্তর ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোলাম মুর্শেদ জজ। তিনি জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মৃতদের পবিবারের পাশে রয়েছেন তাঁরা। এর পাশাপাশি সাবলদহ গ্রামে নিহতদের বাড়িতে যান বড়ঞা দক্ষিণের ব্লক তৃণমূল সভাপতি মাহে আলম। তিনিও মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। সূত্রের খবর, মৃতদের পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্যও করা হতে পারে। ভোটের আগে, এটিকে তৃণমূলের মাস্টারস্ট্রোক হিসেবেই দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সভা দেখতে আসা এই তিন জনের মৃত্যুর জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেছেন কুণাল ঘোষ।           

এইদিনই আরেকটি ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৮ টি হাতির। অসমের  হোজাই জেলার ঘটনা।  মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে শনিবার ভোররাতে। সাইরাং–নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে একটি হাতির পালের সংঘর্ষে অন্তত ৮টি হাতির মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছে একটি হাতির শাবকও। এর জেরে রেল চলাচলেও বড়সড় ব্যাঘাত ঘটেছে।