উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: পরিবেশ বাঁচাতে প্রয়োজন গাছ। কিন্তু শিল্পোন্নয়ন থেকে নগরায়ন- এসব কিছুর জন্যই ক্রমাগত কেটে ফেলা হচ্ছে গাছ। বেলাগাম গাছ কাটা রুখতে নানাসময় কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে বন দফতর। বিভিন্ন সরকারি সংস্থার তরফে পরিবেশ বাঁচাতে এবং গাছ কাটা রুখতে নানারকম পদক্ষেপ করা হয়েছে। রাস্তা বা জঙ্গলে বেলাগাম গাছ কাটা রুখতে নানা পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। এবার আরও কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটল বন দফতর। রাস্তা বা জঙ্গলের পাশাপাশি ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকা গাছ কাটতে গেলেও বন দফতরের অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছেন বনমন্ত্রী। যদি সেই নিয়ম না মানা হয় তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

  


আধুনিক কালে সারা বিশ্বেই পরিবেশ বদলের সমস্যা সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চেও বারবার জলবায়ু বদল থেকে বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা। ভারতের পরিস্থিতিও তার বাইরে নয়। পরিবেশবিদদের আশঙ্কা এখনই গাছ বাঁচানোর উদ্যোগ না নিলে শীঘ্রই নানা বিপর্যয় দেখা দেবে। রাজ্যের একটি বিস্তীর্ণ অংশ উপকূলবর্তী এলাকা। ফলে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রতলের উচ্চতা বেড়ে গেলে বিপদে পড়বেন এ রাজ্যের বহু বাসিন্দা। পাশাপাশি বায়ুর মানের (Air Quality) বিষয়টিও থাকে আলোচনায়। এই প্রেক্ষাপটেই গাছ কাটা নিয়ে আরও কড়া হচ্ছে রাজ্য বন দফতর। 


কী পদক্ষেপ:
এখন থেকে ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকা গাছ কাটতে গেলেও বন দফতরের অনুমতি নিতে হবে। এতদিন স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই ব্যক্তিগত মালিকানার গাছ কাটা যেত। নতুন নিয়ম না মানলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে। বুধবার বিধানসভায় একটি প্রশ্নের উত্তরে একথা জানান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।


উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষেত্রে:
বিভিন্ন সময় উন্নয়নমূলক কাজ কিংবা রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য সরকারি উদ্যোগে গাছ কাটতে হয়। এখানেও নতুন একটি ভাবনা রয়েছে প্রশাসনের। বন দফতর সূত্রে খবর, গাছের কোনও ক্ষতি না করে, তা যাতে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সে জন্য নতুন যন্ত্রের ব্যবহার করবে প্রশাসন। 


সচেতনতার বার্তাও:
সবুজ বাঁচাতে সরকার কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে ঠিকই, তবে সাধারণ মানুষকেও সমান সচেতন হতে হবে। সে কথাই বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন পরিবেশবিদরা।


আরও পড়ুন:  বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবি, কর্মবিরতিতে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার অস্থায়ী কর্মীরা