অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: ট্রায়াল রানের পর এবার যাত্রী পরিষেবা শুরুর অপেক্ষায় রাজ্যের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ট্রেনটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে শুরু হবে যাত্রী পরিষেবা।
নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে শুরু হবে যাত্রী পরিষেবা
নিরাপদে এবং নির্বিঘ্নে পরীক্ষামূলক দৌড় শেষ করেছে সোমবারই। শতাব্দী এক্সপ্রেসকে (Shatabdi Express) পিছনে ফেলে মাত্র ৮ ঘণ্টায় পাড়ি দিয়েছে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি (New Jalpaiguri)। সকাল ৫টা বেজে ৫৫ মিনিটে হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। মঙ্গলবার দিনভর হাওড়া স্টেশনের ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বিশ্রাম নিয়েছে ট্রেনটি।
এই মুহূর্তে উদ্বোধনের অপেক্ষায় প্রতীক্ষার দিন গুনছে ভারতীয় রেলের সেমি হাইস্পিড ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। শুধুমাত্র ঝাঁ চকচকে লুকই নয়, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সাজানো হয়েছে ট্রেনটিকে। ভিতরে এগজিকিউটিভ ক্লাসে বসার জন্য রয়েছে রিভলভিং চেয়ার, যা ১৮০ ডিগ্রি ঘোরে।
বসার জায়গা থেকে স্বয়ংক্রিয় আলো, অত্যাধুনিক এই ট্রেনে রয়েছে নানা আকর্ষণীয় ব্যবস্থা। রয়েছে এমার্জেন্সি দরজা, টকব্যাকও। চেন্নাইয়ে রেলের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি হয়েছে অত্যাধুনিক এই ট্রেন।
সপ্তাহে ৬ দিন চলবে ১৬ বগির বন্দে ভারত ট্রেন
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত সপ্তাহে ৬ দিন চলবে ১৬ বগির বন্দে ভারত। সবমিলিয়ে ১ হাজার ১২৮ জন যাত্রী উঠতে পারবেন ট্রেনে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারলেও, এখন ১৩০ কিলোমিটার গতিবেগে চলবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দেশে প্রথম চালু হয় ২০১৯ সালে দিল্লি-বারাণসী রুটে। এখন, দিল্লি-কাটরা, গাঁধীনগর-মুম্বই, নয়াদিল্লি-হিমাচল প্রদেশ, চেন্নাই-মাইসোর ও বিলাসপুর-নাগপুর রুটে চলছে এই ট্রেন। এ বার চালু হতে চলেছে দেশের মধ্যে সপ্তম এবং বাংলায় প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। মালদা টাউন স্টেশন ছাড়া আর কোন কোন স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে ছুটির মরসুমে পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়া বাঙালির কাছে অত্যাধুনিক এই ট্রেনের কদর বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।