রুমা পাল, কলকাতা: বিধাননগরের (Bidhannagar) কর্পোরেশন ভোটে (Corporation Election) কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) চেয়ে জনস্বার্থ মামলার (PLA) শুনানি চলছে হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এ নিয়ে বুধবার ফের শুনানি রয়েছে আদালতে। এই অবস্থায় চার কর্পোরেশন ভোটের পাশাপাশি ১০৮টি পুরসভাতেও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটের দাবি তুলল বিজেপি (BJP)। মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) অফিসে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করা ছাড়াও, তাদের প্রার্থীদের নানাভাবে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও তুলেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়ার দাবি, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হোক। প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, মনোনয়নে বাধা দিচ্ছে। অফিসাররা বিভ্রান্তি তৈরি করছে।’


বিজেপি-র পাশাপাশি, এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় সিপিএমও। তাদের দাবি, সুষ্ঠুভাবে ভোটের জন্য সিল করে দেওয়া হোক সীমানা এলাকা। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেব বলেছেন, ‘বাইরে থেকে লোক আসছে। সীমানা সিল করতে হবে।’


বামেদের আরও অভিযোগ, রাজপুর-সোনারপুর এবং মহেশতলা পুরসভায় ভোটার তালিকায় গরমিল রয়েছে। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শমীক লাহিড়ির অভিযোগ, ‘সোনারপুর-রাজপুরে ভোটার তালিকা ভুলে ভরা। মহেশতলাতেও একই অবস্থা।’


এদিকে, পোলিং এজেন্ট নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা পুনরায় বিবেচনা করার জন্য একযোগে দাবি জানাল বাম ও বিজেপি।


দু’দলেরই দাবি, প্রতিটি ক্ষেত্রে ওয়ার্ড ভিত্তিক পোলিং এজেন্ট রাখা হোক। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সিপিএম ও বিজেপির অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


এদিকে, শনিবার বিধাননগর, আসানসোল, শিলিগুড়ি ও চন্দননগরে পুরভোট। চার পুরসভার ভোটে বহিরাগতদের ঠেকাতে নির্দেশ দিল রাজ্য কমিশন কমিশন। বৃহস্পতিবার প্রচার পর্ব শেষ হওয়ার পর যাঁরা সংশ্লিষ্ট পুরসভার ভোটার নন, তাঁদের এলাকা থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশের উপর নজরদারি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গেস্ট হাউস, লজ, কমিউনিটি হলে নজরদারি বাড়াতে বলেছে কমিশন। ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮টি পুরসভায় ভোট। পঞ্চায়েতের কোনও পদাধিকারী বা সাধারণ সদস্য পুরভোটে প্রার্থী হতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।