সমীরণ পাল, বারাসাত: হুঁশিয়ারির পরেও ভোটের লড়াইয়ে অনড় থাকায় ৬১ জনকে বহিষ্কার। উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas) একসঙ্গে ৬১ জন বিক্ষুব্ধকে বহিষ্কার করল তৃণমূল (TMC)। জেলার ২৫ পুরসভায় ৬১ জন তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নির্দলকে বহিষ্কার (Expelled)। জেলাজুড়ে টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেন ৬৭ জন। হুঁশিয়ারির পর আগেই ৬ জন ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান। চূড়ান্ত হুঁশিয়ারির পরেও অনড় থাকায় ৬১ জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত।
এদের মধ্যে উত্তর ব্যারাকপুর ২ জন, দক্ষিণ দমদম ২ জন, খড়দা ২, অশোকনগর-কল্যাণগড় ৪ জন, টাকিতে ১, টিটাগড় ৯, গোবরডাঙা ২, বাদুড়িয়া ৯, বারাসাত ৯ জন, উত্তর দমদম ২ জন, কামারহাটিতে ৮ জন, বনগাঁর ৯ জন, নিউ ব্যারাকপুর ২ জন। অন্যদিকে, চরম বার্তার পরেও ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়াননি। দলের নির্দেশ অমান্য করায় আরামবাগের চার এগরার দুই ও ডানকুনির এক নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। গত কয়েক দিন ধরেই বিদ্রোহী নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে শাসক দল। শতাধিক বিক্ষুব্ধ নেতা ও নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হলেও, পিছু হটেননি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা পুরসভার ৬ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী।
এই অনড় মনোভাবের কারণেই এগরার দুই বিক্ষুব্ধ নেতা ও নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। আরামবাগের তৃণমূলের বিদ্রোহীরা আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে করছেন প্রচার। লুৎফা বেগম-সহ চার জন বিক্ষুব্ধ নেতা-নেত্রী ও নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। এবিষয়ে শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলকে হারানোর জন্য নির্দলরা বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। প্রার্থী হতে না পারলে দলের জন্য করতে হবে। দল যা করেছে মানতে হবে।’’ সব মিলিয়ে পুরভোটের সাত দিন আগেও জেলায় জেলায় তৃণমূলের নির্দল অস্বস্তি কাটছে না।