সৌমেন মহাপাত্র, ডেবরা: ডেবরায় চাকরি-বিক্রির অভিযোগে মারধরের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। আক্রান্ত তৃণমূল নেতার দাবি, তিনি নিজেই চাকরি-প্রতারণার শিকার। অভিযোগ, ছেলে ও ভাইয়ের সরকারি চাকরির জন্য তিনি টাকা দিয়েছেন ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্মাধ্যক্ষকে। শুধু তাঁর কাছ থেকেই নয়, ওই কর্মাধ্যক্ষ চাকরির টোপ দিয়ে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন।           


এ নিয়ে মুখ খোলাতেই গতকাল মারধর করে তাঁর রাজনৈতিক সম্মানহানির চেষ্টা হয় বলে দাবি প্রাক্তন INTTUC নেতার। মারধরের ঘটনায় থানার দ্বারস্থ হয়েছেন ওই নেতা। পাশাপাশি, তৃণমূল নেতাকে মারধরে অভিযুক্ত ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার টোপে আরও অনেক তৃণমূল নেতা টাকা নিয়েছেন। তাঁদের নামও প্রকাশ্যে আনা হবে। আক্রান্তের সঙ্গে দলীয় যোগ অস্বীকার করে তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের দাবি, দল দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবে না।                                   



এ ধরনের চাকরি বিক্রির এজেন্সি তৃণমূলের আমলে সব জায়গায় দেখতে পাবেন। প্রতিক্রিয়া বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি শমিত দাসের।                            


আরও পড়ুন, ‘ডাবল প্রতারণা’ তৃণমূল নেতার! চাকরি দেওয়ার নামে টাকা লোপাট, ফেরত দেওয়া চেকও বাউন্স


যারা টাকা দিয়েছে, তারা এখন ফেরত চাইছে। তাই এখন আর চোর ধরো জেল ভরো নয়, চোর ধরো ফেলে মারো। মানুষ ঠিক করে নিয়েছে। চাকরি-প্রতারণার অভিযোগে তৃণমূল নেতাকে মারধর প্রসঙ্গে কটাক্ষ সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষের।


ঠিক কি ঘটেছিল? 


প্রসঙ্গত, রেলে চাকরির নামে ৫ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ। ডেবরায় তৃণমূল নেতাকে গাছে বেঁধে মারধর করেন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের সদস্যরা। পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে। ৩ মাসে টাকা ফেরানোর প্রতিশ্রুতিও দেন অভিযুক্ত। পরে অভিযুক্তই অভিযোগ দায়ের করেন ২ জনের নামে।