রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: এবার জেলা পরিষদের সরকারি জমি কেলেঙ্কারিকাণ্ডে বামেদের পাশাপাশি নাম জড়াল রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের একাংশের। এ নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি। কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম। তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।


জলপাইগুড়ির জেলা পরিষদের তৃণমূল নেতা ও সহ সভাধিপতি দুলাল দেবনাথের কথায়, দলের অনেক নেতা কর্মীদের কেউ কেউ জমি বেহাতের ঘটনায় জড়িত বলে আভাস মিলেছে।


কয়েক মাস আগে জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতিই সরকারি জমি বেহাতের জন্য তৎকালীন বাম পরিচালিত বোর্ডের ওপর দায় চাপিয়েছিলেন। আর এবার দলের নেতাকর্মীদেরই নাম জড়ানোয় তাঁদেরকে কড়া বার্তা দিলেন তিনি। 


জেলাপরিষদ সূত্রে খবর, বাম আমলে রাজগঞ্জ, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি, মালবাজারে বেহাত হয়েছে প্রায় হাজার বিঘা সরকারি জমি! এই নিয়ে শুরু হয় প্রশাসনিক তদন্ত। সেই তদন্তে নাম উঠে এল তৃণমূলের নেতা কর্মীদের। এনিয়ে অভিযুক্ত নেতাকর্মীদের সতর্কও করা হয়েছে। 


জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ তৃণমূল নেতা ও সহ সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ, বাম আমলে তাদের জমি বেদখল করে জমি কেলেঙ্কারি করেছে বামেরা। দলের অনেক নেতা-কর্মীদের কেউ কেউ জমি বেহাতের ঘটনায় জড়িত বলে আভাস মিলেছে। তাদের সকলকে সতর্ক করা হয়েছে। প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে।


জমি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকা অভিযোগ অস্বীকার করেছে বামেরা। সলিল আচার্য, জলপাইগুড়ির সিপিএম জেলা সম্পাদকের কথায়, আমাদের কাছেও তথ্য আছে শাসক দলের নেতারা বিভিন্ন ব্লকে একাধিক জমি দখল করে রেখেছে । আমাদের কেউ যুক্ত না থাকলে তদন্তে শনাক্ত কীভাবে করবে।অভিযোগ তো করাই যায় গায়ের জোড়ে। প্রমাণ করতে হলে হাতে কাগোজপত্র নিয়ে প্রমাণ করতে হয়। প্রমাণ আর অভিযোগের মধ্যে ফারাক আছে।


এনিয়ে শাসক শিবিরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। জলপাইগুড়ির বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন,  তৃণমূলের নেতা কর্মীরা জেলা পরিষদের জমি শুধু নয়। আদিবাসী জমি। এমনকি রেলের জমিও বেদখল করে বেচে খাচ্ছে। ভাগ বাঁটোয়ারায় গন্ডগোল হয়েছে তাই সহকারি সভাধিপতি এখন এই কথা বলছেন। ভাগ বাঁটোয়ারা আর বান্ডিল পেলেই সব জগাই মাধাই এক হয়ে যাবে। সরকারি জমি দখল ইস্যুতে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয় সেটাই এখন দেখার।