প্রসেনজিৎ সাহা, আগরতলা (ত্রিপুরা) :  প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজি, মহাত্মা গাঁধী ও আইনস্টাইনের তুলনা ! 
বাংলার মনীষীদের সঙ্গে বিপ্লবের তুলনা করে বিতর্কে জড়ালেন ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ (Ratan Lal Nath)। শুক্রবার ধলাই জেলার কমলপুরে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Biplab Deb)  স্বপ্ন দেখাতে পেরেছিলেন। আর কোনও মুখ্যমন্ত্রী তা পারেননি।



স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, মহাত্মা গাঁধী ও আইনস্টাইনের তুলনা
এরপর বিপ্লব দেবের শ্রেষ্ঠত্ব বোঝাতে তাঁর সঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, মহাত্মা গাঁধী ও আইনস্টাইনের তুলনা করেন ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।  


সমালোচনার স্রোত 
ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্যের কিছুক্ষণ আগেই গতকাল বিপ্লব দেবকে নির্লজ্জ বলে কটাক্ষ করেন একদা তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য ও কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন। জলে ভাসছে ত্রিপুরা, শিক্ষামন্ত্রী বওয়াচ্ছেন তোষামোদের স্রোত, প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন অধুনা তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী নিজেই মহাপুরুষ ! 


বারবার বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিপ্লব নিজেও
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিপ্লব দেবের ৪ বছর ২ মাসের জমানায় বারবার বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন। যেমন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কয়েকমাসের মধ্যেই বিপ্লব দেব দাবি করেছিলেন,  মহাভারতের সময়েই ভারতে ইন্টারনেটের ব্যবহার ছিল। সে কারণেই তো সঞ্জয় হস্তিনাপুরে দাঁড়িয়ে কুরুক্ষেত্রের সমস্ত বর্ণনা দৃষ্টিহীন ধৃতরাষ্ট্রকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে শোনাতে পেরেছিলেন। অনেকেই বৈপ্লবিক মন্তব্য বলে কটাক্ষ করেন। তাতে অবশ্য ত্রিপুরার সদ্য পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী দমেননি। গত বছর বিপ্লব দেব বলেন শুধু ভারতেই নয়, শ্রীলঙ্কা, নেপালেও সরকার গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে অমিত শাহের।  


এত বিতর্কের পরেও থামেনি ত্রিপুরার সদ্য পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী। একটি সরকারি অনুষ্ঠানে বিপ্লব দেব পরামর্শ দেন,  চাকরির জন্য রাজনীতিকদের পেছনে ছুটবেন না। তার বদলে গরু কিনে দুধের ব্যবসা করুন। কিংবা পানের দোকান দিন। ১০ বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ টাকার মালিক হয়ে যাবেন। 

এবার সেই বিপ্লবকেই স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ, সুভাষচন্দ্রের সঙ্গে একই ব্র্যাকেটে ফেললেন ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী।