সনৎ ঝা, জলপাইগুড়ি: ট্রাক-অ্যাম্বুল্যান্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে (head on collision leads to death) মৃত্যু হল ৩ জনের। গুরুতর জখম ২। ফুলবাড়ির (jalpaiguri) আমাইদিঘি এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। ময়নাগুড়ির (moinaguri) বাসিন্দা মুক্তি সাহাকে নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে (north bengal medical) আসছিলেন তাঁর পরিবারের ৫ জন। দুর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যায় অ্যাম্বুল্যান্স। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৩ জনের।
কী ঘটেছিল?
গত কাল রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ ময়নাগুড়ির বাসিন্দা মুক্তি সাহাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে নিয়ে আসা হচ্ছিল। প্রাথমিক ভাবে যা জানা গিয়েছে, তাতে মুক্তির মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছিল বলে খবর। স্থানীয়দের বক্তব্য, কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়াতেই যত বিপত্তি। দুর্ঘটনার আওয়াজ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারাই এগিয়ে এসেছিলেন। জখমদের উদ্ধার করে তাঁরাই হাসপাতালে নিয়ে যান। যে রাস্তার উপর ঘটনাটি ঘটে, সেটি সিঙ্গল লেন। সব মিলিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ময়নাগুড়ি এলাকা শোকস্তদ্ধ। গত কালই মালদা থেকে গাজোল যাওয়ার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়ে একটি বাস। তাতে অন্তত ২০ জন জখম হন বলে জানা যায়। বস্তুত, রাজ্যের নানা প্রান্তে সড়ক দুর্ঘটনার খবর প্রায়ই শোনা যায়।
দুর্ঘটনা বার বার...
রবিবার সকালের ওই ঘটনায় হইচই পড়ে যায় এলাকায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। জখম যাত্রীদের উদ্ধার করে বালুরঘাট সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পৌঁছে দেন। কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা হাসপাতালে পৌঁছন। জখম যাত্রীদের সাথে কথা বলেন। তাঁদের চিকিৎসার খোঁজখবরও নেন। হেডফোন ও মোবাইল ব্যবহার নাকি ভোরের কুয়াশাই এর নেপথ্যে, জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়েই পালিয়ে যান বাসের চালক। দিনতিনেক আগে ধূপগুড়িতে এশিয়ান হাইওয়ের ওপর পণ্যবোঝাই দুটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছিল। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় কয়লা বোঝাই একটি লরি। জখম চালক ও খালাসিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধূপগুড়ির গিলান্ডি ব্রিজ লাগোয়া এশিয়ান হাইওয়ের উপর কয়লা বোঝাই লরির সঙ্গে পেঁয়াজ বোঝাই একটি লরির সংঘর্ষে আগুন লাগে কয়লা বোঝাই লরিটিতে। দমকলের একটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ভয়ঙ্কর ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ এশিয়ান হাইওয়েতে যান চলাচল বন্ধ ছিল। তার আগে, গত নভেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক বাইকচালকের মৃত্য়ু হয়েছিল নিউটাউনে। মৃতের নাম বিমল হালদার বলে জানায় পুলিশ। বয়স ৪৮ বছর। তিনি নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ জানান, একটি ডাম্পার তাঁর বাইকে ধাক্কা মেরেছিল। পুলিশ ডাম্পারের চালককে আটক করে। কিন্তু প্রশ্ন হল, বার বার ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা সত্ত্বেও কি টনক নড়ছে না প্রশাসনের?