কলকাতা: উৎসবের সময় পুজো অর্চনার কারণে অনেকেই টানা অনেকক্ষণ কোনও খাবার না খেয়ে থাকেন। কেউ কেউ নির্জলা উপোস (Fasting) করেন আবার কেউ উপবাসে থাকার সময় শুধুই জল খান। পুজোর রীতি এবং বিশ্বাস অনুযায়ী উপবাস করার রীতি রয়েছে। বহু পূণ্যার্থী পুজো দেওয়ার পর খাবার খেয়ে থাকেন। এই উপবাস চলাকালীন আমাদের বেশ কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার। কারণ, বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, উপবাসে থাকলে বা উপোস করার সময় আমাদের পাকস্থলী একেবারে খালি হয়ে যায়। সেই সময় যে কোনও খাবার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নাও হতে পারে। তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে আমাদের শরীরে। তাই এই সময় কী খাওয়া উচিত আর কোন খাবার খাওয়া উচিত নয়, তা জেনে নেওয়া খুবই প্রয়োজন।


পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, উপোস করার পর শুধুমাত্রই স্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের খাওয়া দরকার। তবেই বিভিন্ন অসুখের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করা সম্ভব। অনেকেরই ধারণা রয়েছে যে, ১৬ ঘণ্টা যদি কোনও মানুষ উপোস করেন, তাহলে তিনি প্রথম ৮ ঘণ্টার পরই যা কিছু খেতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ধারণা একেবারেই ভুল। উপোস করার জন্য এবং উপবাস ভঙ্গের পর কী খাবার খাচ্ছেন, কতটা পরিমাণে খাচ্ছেন সেদিকে নজর না দিলে শরীর খারাপ হতে পারে। 


আরও পড়ুন - World Suicide Prevention Day 2021: করোনাকালে বাড়ছে বয়স্কদের আত্মহত্যার প্রবণতা, কীভাবে আটকাবেন ?


১. পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন যে, দীর্ঘক্ষণ উপবাসে থাকার পর আমাদের ফল এবং সব্জি খাওয়া দরকার। ফল এবং সব্জিতে অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে। যা সেই সময়ে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সব্জি এবং ফলের সঙ্গে নারকেলের দুধ, টাটকা নারকেল, ড্রাই ফ্রুটস এগুলোও রাখতে পারেন আপনার খাবাররে তালিকায়। সব্জি রান্নার ক্ষেত্রেও তাঁরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, সেই খাবারে যেন খুব অল্প পরিমাণে লঙ্কা, মশলা এবং তেলের ব্যবহার করা হয়।


২. উপবাসে থাকার সময় আমাদের শরীরকে হাইড্রেট রাখা খুবই জরুরি। এই সময়ে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পাশাপাশি যদি সম্ভব হয় তাহলে নারকেল বা ডাবের জল খেতে পারেন। ডাবের জলের গুণাগুণ অনেক। এছাড়াও যেকোনও ফলের রসও খেতে পারেন এই সময়ে। যা আপনার শরীরকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন যোগাবে।


আরও পড়ুন - Health Tips: কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হয়েছে?


৩. যদি আপনি মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে ভালোবাসেন, তাহলে এই সময়ে খেজুর খেতে পারেন।


৪. দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার পর চটজলদি তৈরি হয়ে যাওয়া কোনও খাবার একেবারেই খাবেন না। এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।



ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।