হিন্দোল দে, কলকাতা: রিজেন্ট পার্ক (regent park) এলাকায় যুবককে (youth) পিটিয়ে খুনের অভিযোগে চাঞ্চল্য এলাকায়। মৃতের নাম অমিতরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ (police)। জখম (injured) অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে (M R Bangur) নিয়ে যান ৬ যুবক। তখনই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। 


কী হয়েছিল?
পুলিশ জানিয়েছে মৃতের বাড়ি বীরভূমে। কলকাতায় একটি সংস্থার চাকরি করতেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, টাকা-পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদ থেকেই পিটিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁকে। সূত্রের খবর, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করা হলে ৬ যুবকের ১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকিরা গা ঢাকা যায়। তবে এছাড়াও ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। যে গাড়িতে করে জখম অমিতরঞ্জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তার মালিকের নাম সুমন সাহা। এই সুমন সাহার ব্যবসা রয়েছে। নেহরু কলোনির কাছে চাকরি দেওয়ার একটি সংস্থাও চালান তিনি। শোনা যাচ্ছে, অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার কাজ করে সংস্থাটি। এই সংস্থাতেই কাজ করতেন অমিতরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। যাঁকে আটক করা হয়েছিল, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে যুবকদের মধ্যে বচসা হয়েছিল। সেই বচসা থেকেই মারামারি হয় তাঁদের মধ্যে। প্রথমে হাতের লোহার বালা, তার পর সম্ভবত বাঁশ দিয়ে মারা হয় অমিতরঞ্জনকে। পরে জখমকে উদ্ধার করে ওই গাড়িতে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।  

রহস্যমৃত্যু প্রোমোটারের...
এই ধরনের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। গত মে মাসে রিজেন্ট কলোনিতে প্রোমোটারের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম ছিল সুশান্ত মুখোপাধ্যায়। পরিবারের দাবি, বেশ কয়েকটি প্রোমোটিংয়ের কাজ আটকে থাকায় বছর আটচল্লিশের ওই প্রোমোটার সম্প্রতি মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন। স্ত্রীর সঙ্গেও বনিবনা ছিল না। সেই কারণেই আত্মঘাতী কিনা খতিয়ে দেখতে শুরু করে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ। তার আগের মাসেই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে হইচই পড়ে যায়। সে বার ঘটনাটি ঘটেছে রিজেন্ট পার্ক থানার বাবুরাম ঘোষ রোড এলাকায়। মৃত ছাত্র টালিগঞ্জের একটি নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ক্লাস টেনের ছাত্র ছিল। এবার ফের খুনের অভিযোগে হইচই।


আরও পড়ুন:খুশির হাওয়া কপূর-ভট্ট পরিবারে! এল রণবীর-আলিয়ার কন্যাসন্তান